তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলের ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মূলত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর প্রথম দিন বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা হবে ডিসিদের। এরপর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের তিনটি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজ করবেন জেলা প্রশাসকরা।
সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, এবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নির্দেশনা গ্রহণের পাশাপাশি স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে সম্মেলনে।
এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মতো কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব পাবে।
সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অংশগ্রহণে ২৬টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২০টি।
এবার ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদারকরণ; ভূমি ব্যবস্থাপনা; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ; ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন; এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।
টিএইচ