মধ্যপ্রাচ্যে ও আফ্রিকা থেকে দেশে আসা মানুষ এইডসে বেশি আক্রান্ত হয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে এর মাত্রা বেশি। তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়া আসার সময় আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই কমে যাবে এইডস।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবারের জন্য হলেও এইডসের চিকিৎসা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও চক্ষুলজ্জার ভয়ে এইডসের চিকিৎসা থেকে দূরে থাকা যাবে না। রোগমুক্তির উদ্দেশে চিকিৎসা নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের হাতে টিকা আছে। চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। টিকা দেওয়ার ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটিরও সম্মতি আছে।’
চীন, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যদিও দেশে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম।’ দেশে করোনায় মৃত্যু ৩০ হাজারের কম উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি মৃত্যুও চাই না।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনার টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এই ৭ দিনে ৯০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
জাতীয় টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হক প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ৯৮ শতাংশ প্রথম ডোজ এবং ৯৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। টিকা প্রদানের হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারা বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছে।
টিএইচ