পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই।
তিনি সোমবার (২২ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংকালে বলেন, ‘নতুন কোন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। কারণ এটি অন্য একটি দেশের উপর নির্ভর করে। যদি কোনো নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তবে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি শুভ বুদ্ধির জয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার সফর নিয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি দৈনিক পত্রিকার মিডিয়া প্রতিবেদনের একটি অংশকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলে, এটি একটি ‘উত্তেজনামূলক উদ্দেশ্য’ নিয়ে করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি কখনো চীনা ফার্মে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেননি। বরং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন এবং সেখানে কাজ করেছেন।
মিডিয়া রিপোর্টটিকে অদ্ভুত হিসেবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুবই অদ্ভুত ও আশ্চর্যজনক ছিল। এতে কোনো তথ্যসূত্র (উৎস) উল্লেখ করা হয়নি।’
এর আগে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসছে, সরকার প্রস্তুত রয়েছে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের মানহানি হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ড. মোমেন মন্ত্রী হওয়ার আগে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ কে আব্দুল মোমেনের নামে এ ধরনের মিথ্যাচারের মাধ্যমে তার মানহানির পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
টিএইচ