জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় ধর্ষণ মামলা করার ৮ ঘণ্টার মধ্যেই মামলার প্রধান আসামি ও তার সহযোগীকে র্যাবের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে।
গত রোববার রাতে বগুড়া সদর উপজেলারন বটতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে হাসনাইন হোসেন তমাল (২০) ও পাঁচবিবি উপজেলার ছোট্ট মানিক গ্রামের পাষ্ণাবের বায়েজিদ হোসেন (২৩)। সোমবার (৭ আগস্ট) র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ২ আগস্ট হাসনাইন হোসেন তমাল দেখা করার কথা বলে দিনাজপুরের হিলি থেকে ভিকটিমকে পাঁচবিবি পৌরপার্কে নিয়ে আসে।
ভিকটিম পার্কে আসলে তমাল সন্ধ্যায় বায়জিদসহ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে উপজেলার নওদা পাড়া গ্রামে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ভিকটিমকে গভীর রাতে তমাল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সকালে ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে আসামিরা তাকে গাড়িতে উঠিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
পরে ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনার বিস্তারিত জানালেন ভিকটিমের পরিবার গত রোববার পাঁচবিবি থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলা হওয়ার পর র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের আটক করতে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে এবং একপর্যায়ে আসামিরা তাদের স্থান পরিবর্তন করে বগুড়া চলে গেলে র্যাব -১২, বগুড়া ক্যাম্পের সহায়তায় তাদের ২ জনকে বগুড়ার বটতলী থেকে আটক করা হয়। পরে আসামিদেরকে পাঁচবিবি থানায় জিডি মূলে সোপর্দ করা হয়েছে।
টিএইচ