সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু

দেশের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  খুলনার দাকোপে বজ্রপাতে ৩ জন ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দাকোপ (খুলনা) : দাকোপে বজ্রপাতে ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও মৎস্যজীবী ৩ জন নিহত ও ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন গাজী জানান. তিলডাংগা ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের কাকড়া বুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তার শেখের পুত্র আজিজুল শেখসহ ৪ জন একসাথে মৎস্যঘেরের রাস্তায় মাটির কাজ করছিলো। রোববার (১৮ জুন) বজ্রপাতে আজিজুল শেখের (৬২ ) মৃত্যু হয়।

তবে অন্যদের কোন সমস্যা হয়নি। অপর দিকে ভুক্তভোগী পরিবার ও  সুতারখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির সূত্রে জানাযায়,  সুতারখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে কালাবগী গ্রামের কৃষ্ণ মণ্ডলের পুত্র সুজিত মণ্ডলসহ ৫ জন কালাবগী নদীতে মাছ ধরার জন্য জালপেতে অবস্থান করছিলো। সকালে বজ্রপাতে সুজিত মণ্ডলের (৩৩) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একই এলাকার মৃত মোমিন গাজী পুত্র আনিস গাজী, ইসমাইল ও রিপন বৈদ্য নামে ৩ জেলে আহত হয়। 

এদিকে পাইকগাছা এলাকার মৃত রহিম শেখের পুত্র খোরশেদ আলম শেখ(৬০) বাঁশ বিক্রি কার জন্য বটবুনিয়া নদীতে বাঁশের নৌকা নিয়ে অবস্থান করছিলো। এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টিসহ বজ্রপাতে শুরু হলে বজ্রপাতের ঘটনায় সে অসুস্থ হওয়ার স্থনীয় লোকজন তাকে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথেমধ্যে খোরশেদ আলম শেখ মৃত্যুবরণ করে। দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা। আহতদের স্থানীয় ডাক্তারের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে।

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামের পরিমল বৈদ্যর ছেলে অক্কুর বৈদ্য (৩০) বজ্রপাতে নিহত হয়। 

পরিবার সূত্রে জানাগেছে যে, অক্কুর তার সালিকার বিয়েতে উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালী শশুর বাড়ি যাচ্ছিল। চাঁদাখালী বিল দিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিল। সাথে তার স্ত্রী সুলতা, ১ বছরের  মেয়ে ও তার বাবা। ছেলেকে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে বাবা পরিমলও সাথে ছিলো। এর মধ্যে  অক্কুরের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অক্কুরের পরিবারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অক্কুরকে সৎকারের কার্যক্রম চলছিলো। 

টিএইচ