প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বস্ত্র উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানির ঐতিহ্য রয়েছে। মেয়েদের কর্মসংস্থানে নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে পোশাক শিল্প। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নারীরা এসে কাজ করে। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তারা বিশেষ অবদান রাখছে। একেকটি পরিবারও আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন ও ৬টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
পোশাক খাতের উন্নয়নে সরকারের নেয়া নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের উদ্যোগের কারণে হারানো মসলিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে এটিকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পোশাক খাত বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পোশাক কারখানায় নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং এর নতুন বাজার খুঁজে বের করার তাগিদ দেন তিনি। এই খাতের উদ্যোক্তাদের বিদেশনির্ভরতা কমানোর আহ্বানও জানান সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নতিতে কাজ করছে। অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বাংলাদেশের পোশাক কারখানার পরিবেশ ভালো এবং শ্রমিকদের স্বাধীনতা বেশি।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ।
প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের গৌরনদীতে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, নওগাঁর মান্দায় শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, ভোলায় ভোলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট।
টিএইচ