রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রুলসহ এ আদেশ দেন।
সেই সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটা মনিটরিং টিম করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে টিম ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ করবে।
রুলে ফ্লাইওভারগুলোর দেয়াল থেকে বিজ্ঞাপনের লেখা ও পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার রিটটি করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনজীবী মো. সরওয়ার আহাদ ও রিপন বাড়ই। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দিলেন।
দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে না।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘পোস্টার লাগিয়ে ফ্লাইওভারের পিলারগুলার কী অবস্থা বানিয়ে ফেলছে। প্রতিদিন এগুলার নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখে কী যে কষ্ট লাগে। পোস্টার লাগিয়ে আমাদের শহরটার সৌন্দর্য ধ্বংস করে ফেলেছে। এগুলো অপসারণ করতেই হবে।’
টিএইচ