শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Post

বিভিন্ন স্থানে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন স্থানে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স

‘আপনার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’- এই স্লোগানে সারাদেশের আগামী ১৫ মার্চ দেশব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের সঙ্গে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানানো হয় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

কুমিল্লা : কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে ৫৫ হাজার ১৯১ জনকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নগর ভবনের অতিন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম। তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ১১৪ টি কেন্দ্রে ৫৫ হাজার ১৯১ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ জন সুপারভাইজার দায়িত্বরত থাকবেন। কুমিল্লা সিটি কমর্পারেশনের উদ্যোগে নগরীর ১১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে ০৬-১১ মাস বয়সী ৭ হাজার ৮২৫ জন শিশুকে নীল ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪৭ হাজার ৩৬৬ জন শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম বলেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যা শিশুদেও অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নির্ধারিত ১১৪টি কেন্দ্রে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক ও সুপারভাইজারদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শতভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের আওতায় আনা। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে শিশুদের অপুষ্টি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো। এসময়, সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কমর্পারেশনের (সচিব) মোহাম্মদ মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূইঁয়া, মেডিকেল অফিসার ডা. চন্দনা রাণী দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. জহিরুল ইসলামসহ সিটি কমর্পারেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সিভিল ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহাম্মেদ। সিভিল সার্জন বলেন, আগামীকাল ১৫ মার্চ সকাল ৮টা জেলার ৯০৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো  হবে। এ কার্যক্রম চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তিনি বলেন এ বছর জেলার ৬-১১ মাস বয়সের শিশু রয়েছে ১৭ হাজার ৩৬৩ জন, ১-৫ বৎসর বয়সের শিশু রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৬৭ জন। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র থেকে ১-৫ বছর বয়সী শিশুদেরকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি লাল রঙের ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩০ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি  : জেলায় সর্বমোট ৮৫ হাজার ৮৬০ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসা। গত বুধবার জেলা সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ও জাতীয় পুষ্টিসেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে সিভিল সার্জন কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা খোকন চাকমা, ক্লাবের সভাপতি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা। রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলায় এবার ১হাজার ২০৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী ১০হাজার ৫৩৭ জনকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭৫ হাজার ৩২৩ জনকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় সরকারের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫৮ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’  ক্যাপসুল খাওয়ানোর হবে।  এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৫০০ জন এবং   ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪৯ হাজার ৯৬০ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের জন্য নগরীতে ২২০ টি কেন্দ্রের নির্ধারণ করা হয়েছে।  প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে কর্মী থাকবে। এছাড়া এই  ভিটামিন ‘এ’  ক্যাম্পেইন থেকে যে শিশুরা বাদ পরবে তাদের জন্য নগরীর ৩ টি কেন্দ্রে ৭ দিন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পল্লবী সুলতানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মনজুরুল ইসলাম (শুভ্র), মেডিকেল অফিসার ডা. সজল পান্ডে, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান আল রোমেল। এদিকে ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠির জন্য বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট এবং ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কেন্দ্র থাকবে। এছাড়াও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগ ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০ জন কর্মী ওই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলায় ৯০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। এবছর ঝালকাঠিতে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার  ৪১৩ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৬ হাজার ৬০৮ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি আরও জানান ঝালকাঠির ৪টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন আর দুটি পৌরসভায় একযোগে ৮২৪টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে। এর বাইরেও জেলায় আরও ৬টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকবে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১ হাজার ৬৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৩৬০ জন মাঠকর্মী নিয়োজিত থাকবেন। কোনো শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং ও জুম্মার নামাজের আগে জনগণকে জানান দেয়া হবে। এছাড়াও ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোনো টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। এসময় সিভিল সার্জন মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী খলুলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদারসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও  ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিভিল সার্জন অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের বিষয়ে আলোচনা করেন সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক। এসময় মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর বিশ্বাসসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিতি ছিলেন। সিভিল সার্জন জানান, এ ক্যাম্পেইনে জেলার ৫ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ২৩ হাজার ৫৭২ জন শিশুকে নীল রং এর ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ জন শিশুকে লাল রং এর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৭টি স্থায়ী, ১ হাজার ৭০৯ টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ২১৬ জন তত্ত্ববধায়কের নেতৃত্বে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিভিল সার্জন অফিসের তৃতীয় তলার সভা সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় মোট ২ লাখ ৭ হাজার ৪৬২ জন শিশুর মাঝে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খায়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের নীল ক্যাপসুল খায়ানো হবে ২৬ হাজার ৮৪৪ জনকে। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের লাল ক্যাপসুল খায়ানো হবে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬১৮ জনকে। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মনজুরুল আলম উপস্থিত গণমাধ্যমের কর্মীদের মাঝে বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা ৬টি স্থানে স্থায়ীয় কেন্দ্র স্থপান করা হয়েছে। আর অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ৬০৬টি। ভ্রামমাণ কেন্দ্র থাকবে ২৩টি। এখানে সব মিলিয়ে কেন্দ্র হচ্ছে মোট ১হাজার ৬৩৫টি। এদিন এসব কেন্দ্র থেকে টিকার বিষয়ে সেবা প্রদান করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ কমসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োজিত থাকবে ১৫০ জন। আর পরিবার কল্যান সহকারী থাকবে ২২১ জন। সিএইচসিপির কর্মীবাহিনী থাকবে ১১৭জন। প্রতিটি কেন্দ্রে ২জন করে স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ৩ হাজার ২৭০ জন এদিনে কাজ নিয়োজিত থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। এদিন কোন কারণে কোন শিশু বাদ পড়ে গেলে তারা জেলার ৬টি হাসপাতাল থেকে পরের দিন এ টিকে নিতে পারবে। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে ডাক্তাদের মাঝে এ বিষয়ে বার্তা পাঠানো হবে বলে সিভিল সার্জন ডা. মনজুরুল আলম জানান।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৩০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলার ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার ১ হাজার ৬৬টি টিকা কেন্দ্রে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জেলা ৫ উপজেলা, ৩ পৌরসভা ও ৪২ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৬ টি টিকা কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. মাসুদ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এবারকার ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৯ হাজার ১০০ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ২৭ হাজার ১৩০ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন সফল করতে ২ হাজার ১৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করবেন। সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। তাই নির্ধারিত বয়সসীমার প্রতিটি শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পেইন সফল করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে কোনো শিশু এই সেবার বাইরে না থাকে। সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. মাসুদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু, সাবেক সভাপতি অ্যাড. খান মো. জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট মুহাম্মদ কামাল হোসেন। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে প্রতিবেদন পাঠ করেন মেডিকেল অফিসার  ড. নাঈম হাসান এবং সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোকারেমা মানজুরা।

নোয়াখালী : নোয়াখালীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সঠিক ভাবে পালনের লক্ষে  এক অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয় জেলায় ৬ লক্ষ্যাধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কজ্ঝাপসুল খাওয়ানো হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমির সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডসনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সাঈফুদ্দিন মাহামুদ চৌধুরীর সঞালনায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. জান্নাতুল নাঈম কেয়া, এ সময় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক লিয়াকত আলী খান, মেজবাহ উল হক মিঠু, ইমাম উদ্দিন আজাদ, আকাশ মো. জসিম প্রমুখ। সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি জানান, জেলার ৯টি উপজেলা ও ২ পৌরসভা ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৬৩ হাজার ৬শ ঊনচল্লিশ শিশুকে ১ লাখ আই ইউ মাত্রা (নীল) ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫০ জন শিশুকে ২ লাখ আই ইউ (লাল) ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য ৮ হাজার ৮৮ জন মাঠকর্মী ও ৪ হাজার ৫শ চুয়াত্তর সেচ্ছাসেবী মোট ৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৯ শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবে। কেউ এ ক্যপসুল বাড়িতে নিয়ে তাদের সুবিধা জনকভাবে না খাওয়ানোর অনুরোধ করেন।

মহেশখালী (কক্সবাজার) : মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. হেদায়েত উল্যাহ্, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মহেশখালী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ কাইছার হামিদ, ওসি মহেশখালী থানা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাদেকুর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, মহেশখালী, ডা. ফাহিম শাহারিয়ার শাওন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মহেশখালী, ডা. সৈকত বড়ুয়া মুন্না, মেডিকেল অফিসার, এফপি, মহেশখালীসহ বিভিন্ন দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

টিএইচ