দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ মধ্যরাত থেকে টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান ব্যবহার করে যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়।
এ সময় বিরত জেলেদের মাঝে ভিজিএফ সহায়তার আওতায় চাল প্রদান করা হবে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ছয় ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১৬ হাজার ৮০৯ জন। এর মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞায় ১২ হাজার ৮২০ জন জেলে সরকারি সহায়তা পাবেন। তাদের প্রত্যেকে ভিজিএফ সহায়তার আওতায় ৮৬ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
সমুদ্র উপকূলীয় রাঙ্গাবালীর জেলেরা বলছেন, ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞার কারণে জাল নিয়ে তীরে ফিরলেও ঋণের জালে তারা জর্জরিত। এতদিন কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় মগ্ন। এখনো অনেক অনিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। যারা নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারের কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। এছাড়া নিবন্ধিত সব জেলেও সহায়তার আওতায় আসছে না। যারাও এ সুবিধা পান, বেশিরভাগ সময়ে নিষেধাজ্ঞার শেষদিকে সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়, যা তাদের কোনো কাজেই আসে না।
সমুদ্রে মাছধরা জেলে এমাদুল বলেন, পুরো ইলিশ মৌসুমই তেমন ভাল কাটেনি। বড় সাইজের ইলিশ এবার নাই বললেই চলে যা পেয়েছি বেশিরভাগ জাটকা। দুই একজন জেলের জালে ভাগ্যগুণে ইলিশ মিলেছে। বেশিরভাগ জেলেই এবছর খালি হাতে হতাশা নিয়ে ফিরেছে তীরে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন সংরক্ষণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই সময়ে বিরত জেলেদের খাদ্যসহায়তা হিসেবে চাল দেয়া হবে।
টিএইচ