সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

যুক্তরাজ্যের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্যের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার মানোন্নয়ন তথা বাংলাদেশে বিশ্বমানের নার্স ও মিডওয়াইফ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করল নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর।

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড ও ইউনিভার্সিটি অব বল্টন আমন্ত্রণে গত ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার।

পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার মানোন্নয়ন তথা বাংলাদেশে বিশ্বমানের নার্স ও মিডওয়াইফ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড ও ইউনিভার্সিটি অব বল্টন সাথে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি বিষয়ে বিশ্ব র‍্যাংকিং তালিকায় প্রথম পঞ্চাশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় দুটির সাথে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার এবং ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর জো পারডাস। 

অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি অব বণ্টনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট প্রফেসর জেড হ্যান্সলট।

ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ডের সাথে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশের সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান; বাংলাদেশি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি গ্র্যাজুয়েটদের ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ডে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে স্কলারশিপ প্রদান; বাংলাদেশের সরকারি নার্সিং উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলেজে ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ডের সাথে যৌথ ব্যবস্থাপনায় পিএইচডি, মাস্টার্স ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালু; ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড ও বাংলাদেশের সরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম আয়োজন; বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা কারিক্যুলাম রিডিউ; ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড কর্তৃক বাংলাদেশের সরকারি নার্সিং কলেজের আন্তর্জাতিক এক্রিডিটেশন এবং ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বাংলাদেশের নার্স ও মিডওয়াইফদের অংশগ্রহণ।

অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি অব বল্টনের সাথে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি গ্র্যাজুয়েটদের ইউনিভার্সিটি অব বল্টনের মাস্টার্স সম্পন্ন করতে স্কলারশিপ প্রদান; বাংলাদেশের সরকারি নার্সিং কলেজের আন্তর্জাতিক এক্রিডিটেশন; নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সেক্টরে যৌথ গবেষণা চালু; ইউনিভার্সিটি অব বল্টনের সাথে যৌথ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল বিষয়ে নার্সদের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালু; নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংক্রান্ত বিভিন্ন সায়েন্টিফিক ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা এবং যৌথ ব্যবস্থাপনায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংক্রান্ত বিভিন্ন কনফারেন্স, কর্মশালা ও স্বল্পমেয়াদি প্রোগ্রাম আয়োজন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল যুক্তরাজ্য সফর করেন এবং বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড ও ইউনিভার্সিটি অব বল্টনের সাথে এক সভায় অংশগ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই সমঝোতা স্মারক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের নার্স জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ও উন্নত দেশসমূহে বিপুল পরিমাণ দক্ষ নার্স জনশক্তি প্রেরণ করা সম্ভব হবে।  

এআই