ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টিতে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন দুর্গত জেলাগুলোর ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক।
বাতাসের গতি বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দৃশ্যমান হতে শুরু করলে একের পর এক উপকূলের জনপদ বিদ্যুৎবিহীন হতে শুরু করে সন্ধ্যার পর থেকে। দমকা বাতাসে গাছপালা ভেঙে কিংবা উপরে পড়ার কারণে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে সাত-আট ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ কয়েক জেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শত শত গ্রাম।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান রোববার রাত ৯টায় বাদ সম্মেলন করে ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির’ খবর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঝড়ের মধ্যে মানুষ ‘অনেক বিপদের মধ্যে’ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন। আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছেন আমাদের কাছ থেকে। তার পরামর্শ নিয়ে সমস্ত শক্তি সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন ও কাজ করছি।
গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেওয়া হয় রেমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।
টিএইচ