সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post
বন্যহাতির আক্রমণ

হালুয়াঘাট সীমান্তে থামছে না মৃত্যুর মিছিল

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

হালুয়াঘাট সীমান্তে থামছে না মৃত্যুর মিছিল

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সীমান্তে কোনভাবেই থামছে না মিত্যুর মিছিল। মানুষের কাছে এক অজানা আতঙ্কের নাম বন্যহাতি। নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে দিনের পর দিন। ঢাক ঢোল বাজিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও থামানো যাচ্ছে না বন্য হাতিরপাল। 

এই বন্য হাতির তাণ্ডবে সীমান্ত এলাকায় একের পর এক ঝরছে তাজাপ্রাণ। নেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। ফলে চাপা ক্ষোভ বেড়েই চলছে সীমান্তের বাসিন্দাদের। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বন্য হাতির আক্রমণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্তে প্রতিবছর ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা হাতির পাল অবস্থান করে আসছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। দুই দেশের সীমান্তের কাঁটাতারের আশপাশেই খাদ্যের সন্ধানে বিচরণ তাদের। 

খাবারের প্রয়োজনে কখনো ভারতের সীমান্তে আবার কখনো কাঁটাতারের সীমানা পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান করে থাকে। বছরের অধিকাংশ সময়ই বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে মানুষের ওপর হামলাসহ  প্রাণহানি ঘটিয়ে আসছে। 

হাতি আসার নমুনা দেখামাত্রই আগুনের মশাল, পটকা ফুটিয়ে, লাঠিসোঁটা নিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন। প্রতিনিয়তই ক্ষতি করে যাচ্ছে বোরো ধানসহ উফসী ফসলের। 

সীমান্ত এলাকা কড়ইতলী, কোচপাড়া, রঙ্গমপাড়া, বানাই চিরিঙ্গিপাড়া, কাটাবাড়ী, গোবরাকুড়া, গাবরাখালী, ডুমনিকুড়ার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই দেখা মিলছে ভারতীয় বুনো হাতির দল।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, প্রতি রাতে এসব বন্য হাতির দল সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে ভুখন্ডে প্রবেশ করে। রাতভর ফসলের ক্ষতি করে সকাল হতেই সীমানার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করে এসব হাতি। এসব হাতি খাবার না পেলে কৃষকের ঘর-বাড়িতেও হামলা চালায়। সীমান্তে প্রতিবছর এভাবেই ধান, সবজি খেয়ে নষ্ট করছে  কয়েক হেক্টর ফসলি জমি। 

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, স্থানীয় মেম্বার, উপজেলা প্রশাসন, ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে বন্য হাতির আক্রমণ ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং হাতি তারানোর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম আনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা হাছান জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে সবসময় যোগাযোগ করছে দ্রুত সিমান্তে সোলার প্যানেল স্থাপনসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। 

টিএইচ