শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

২৭ বছর পর সড়ক সংস্কার!

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

২৭ বছর পর সড়ক সংস্কার!

কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামায় মাটি ভরাট কাজ চলছে সাতঘরপাড়া-চেপ্টাখালী সড়কে। দুই যুগেরও বেশি সময় পর এ সড়কের সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন চলছে। মগনামা ইউপি গ্রামীণ জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক সংষ্কারের উদ্যোগ নেন।

সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় এ সড়কটি পুনঃসংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চেপ্টাখালী নাশি থেকে সাতঘরপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের মাটি ভরাট কাজ চলমান রয়েছে।

স্থানীয়ারা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে চেপ্টাখালী সাতঘরপাড়া সড়কের সংষ্কার কাজ শুরু হয়। ১২ ফুট প্রস্থ, প্রায় ৫ ফুট উচ্চতা এবং ১৮ ফুট তলা বিশিষ্ট ওই সড়কটির সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।

স্থানীয়রা বলেন, সাতঘরপাড়া থেকে চেপ্টাখালী নাশি পর্যন্ত এ সড়কটি মগনামা ইউনিয়নের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের তীরবর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন থেকে পুর্বদিকে এ সড়কটি বহমান। চেপ্টাখালী নাশি থেকে সড়কটি মধ্যম মগনামা সাতঘরপাড়া স্টেশনে গিয়ে পৌঁছেছে। এ সড়কটি মগনামায় খুবই প্রাচীন সড়ক।

তারা জানান, ১৯৮৯ সালে সড়কটি নির্মিত হয়। অবিভক্ত মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সড়কটি নির্মাণ করেন। দ্বিতীয় দফায় ১৯৯১ সালের শেষের দিকে সড়কটি পাকাকরণ কাজ শুরু করা হয়। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জ্বলোচ্ছাসে মগনামাসহ উপকুল লণ্ডভণ্ড হয়। সেই সময় সমুদ্র পথে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়। চেপ্টাখালী নাশি থেকে নৌপথের ত্রাণ গাড়িতে পরিবহনের জন্য এ সড়কটি ব্রিক সলিন দ্বারা উন্নয়ন করা হয়।

ওই সময় সড়কটির নামকরণ করা হয় মগনামা হাইস্কুল সড়ক। চেপ্টাখালী থেকে সাতঘরপাড়া হয়ে মগনামা হাইস্কুল পর্যন্ত এমনকি মগনামা হাইস্কুল থেকে মুহুরীপাড়া হয়ে বাইন্যাঘোনা পর্যন্ত এ সড়কটির নাম ছিল হাইস্কুল সড়ক। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডের কর্মসৃজনে শ্রমিকরাই সেখানে কাজ করছেন। ৪নং ওয়ার্ডের ৫২ জন এবং ৮নং ওয়ার্ডের ৭৫ জনসহ ১২৭ জন শ্রমজীবী শ্রমিক সেখানে মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত আছেন। শ্রমিকরা গত এক সপ্তাহ ধরে রাস্তার কাজ করছেন বলে জানান।

মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, সড়কটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ। সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সড়কটি বিলীন হয়ে গেছে। ইট তো নেই, মাটিও নেই। ফসলি জমি ও লবণ মাঠের সাথে একাকার হয়ে গেছে। এ সড়কটি কর্মসূচি শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট কাজ শুরু করেছি।

টিএইচ