বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশনে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর একটি বিশেষ ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা রওয়ানা হয়েছেন। এ সময় তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা নিজহাতেই টিকেট কাটেন। উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে রেলসংযোগ স্থাপন দেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করেছিল, কিন্তু আজ নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।
দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়াদেই সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এদিকে মাওয়া-ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো জেলাসহ আশপাশের জেলা-উপজেলাতেও বইছে উৎসবের আমেজ। সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে বইছে রেল উদ্বোধন এবং দলীয় নেত্রীর আগমনী ঈদ আনন্দের উচ্ছ্বাস। তার আগমনকে সামনে রেখে ভাঙ্গাজুড়ে শুরু হয়েছে সাজ সাজ রব।
পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়, মাওয়া স্টেশন থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার। এর মধ্যে পদ্মা সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। মাওয়া প্রান্তে মাওয়া স্টেশন থেকে সেতু পর্যন্ত ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার আর শরীয়তপুর প্রান্তে সেতু থেকে শিবচরের পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ৪ কিলোমিটার। মাওয়া স্টেশন থেকে পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার অংশ (ভায়াডাক্ট ও পদ্মা সেতুর অংশ) পাথরবিহীন রেলপথ।
শরীয়তপুর প্রান্তে পদ্মা সেতুর পর চার কিলোমিটার দূরত্বে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এ প্রান্তের প্রথম স্টেশন। এর পাঁচ কিলোমিটার পর শিবচরের পাচ্চর এলাকায় শিবচর স্টেশন। এরপর ভাঙ্গা জংশন ও ভাঙ্গা পুরোনো স্টেশন।
টিএইচ