মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

অনুমতি না দিলেও পল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুমতি না দিলেও পল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগের সমাবেশ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনেই হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমরা যেখানে বলেছি সেখানেই হবে। অনুমতি দিলেও হবে, না দিলেও হবে। এ দেশটা আমাদের সকলের। ইতোমধ্যে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চাওয়া হয়েছে তারা দিতে যদি অপরাগ হয়, আমরা করবো।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সাতটি সমাবেশ করেছি। আওয়ামী লীগ সব জায়গায় সংঘাতের চেষ্টা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে, গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করেছে। কোন পথ তারা বাকি রাখেনি, আর নতুন কোন পথ খোলাও রাখেনি। সুতরাং ঢাকার সমাবেশে তারা এটা করবে আমরা এটি স্বাভাবিকভাবে মনে করছি, অস্বাভাবিক মনে করছি না।

আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেবো না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে আসবো বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

১০ ডিসেম্বর কি ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দশ তারিখের পরবর্তী কর্মসূচি অবশ্যই দেব। কিন্তু ১০ তারিখে তো বলবো না এখানে আমাদের খেলা শেষ, আন্দোলন শেষ। ১০ তারিখের আগে যদি সরকার জনগণের দাবি মেনে নেয়, ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু এটা আমরা প্রত্যাশা করতে পারিনা।

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, আইনের শাসনে বিশ্বাস করতেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। সার্বিকভাবে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ এবং ন্যায় বিচারে বিশ্বাস করতেন। আজকে দেখছি এসব কিছু দূরে সরে গেছে।

তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, ন্যায় বিচার নেই। বিচারের নামে অবিচারের সম্মুখীন হচ্ছি। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটানোর জন্য চলমান আন্দোলনকে আরো গতিশীল করব। ইতোমধ্যে আন্দোলনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছে। জনগণের অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে ভোটের অধিকার এবং জনগণ যে দেশের মালিক এটা প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবি রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম প্রমুখ।

টিএইচ