বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আওয়ামী লীগ আলটিমেটামের রাজনীতি করে না। গণতন্ত্রে আলটিমেটামের কোনো জায়গা নেই। বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের আলটিমেটাম দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এটা পাকিস্তান মানেনি। সে সময় আর এই সময় এক নয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। পতাকা, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন আছে। এগুলো হলো সীমারেখা। কীভাবে আলটিমেটাম হঠকারিতা মোকাবিলা করতে হয় তা সংবিধানে আছে।
সেটি আমরা ব্যবহার করব। বিএনপির অভিযোগের শেষ নেই। দেশের মানুষ সবকিছু দেখে তারাই বিচার করবে। জনগণের বিচারকে মেনে নেব। ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ আন্দোলনের ভয় করে না।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে জাতীয় সমবায় দিবসের পতাকা উত্তোলন শেষে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম সরকারের কারণে বাড়েনি। বিদেশিদের নিয়ন্ত্রণে ডলার, গ্যাস ও তেল। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ।
গতবার মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে এসেছিল। দেশবাসীর জন্য ভালো খবর আছে। আগামী মঙ্গলবার একনেকের সভা হবে, সেখানে আমি সরকারিভাবে সবকিছু বলব এবং সবশেষ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি তুলে ধরব।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মানুষ বিনা পয়সায় সবকিছু পেতে চায়, সেটা আমিও চাই; কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। প্রত্যেক জিনিসের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনা চলছে। পরিকল্পনা করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো যাবে না। জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এ আলোচনা একটু এগিয়ে যায়, আবার পিছিয়েও যায়। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সহিষ্ণু সরকার, আমরা সহিষ্ণু জাতি। আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালোভাবে থাকতে চাই। রোহিঙ্গারা বিপদে পড়ে এ দেশে এসেছে, এ জন্য বাংলাদেশ তাদের জায়গা দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত প্রমুখ।
টিএইচ