বিএনপিসহ মিলিটারি ডিক্টেটরদের হাত ধরে যে দলগুলো তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
এদিকে ২২তম জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে, ক্ষমতা দখল করে, মার্শাল ল’ এর মধ্য দিয়ে। তারা আবার আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয়, পরামর্শ দেয়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। মার্শাল ল’ দিয়ে, সারারাত কারফিউ দিয়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে; তারা দেশবাসীকে কিভাবে গণতন্ত্র দেয় আর কিসের গণতন্ত্র দেয় আমি বুঝি না।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচয় দেন, জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেন, তাদেরও মুখে শুনি- দেশে নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমার এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময় যারা মার্শাল ল’ দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছিল, সেটাকেই কি তারা গণতন্ত্র বলতে চান? ওটাই কি তাদের গণতান্ত্রিক ধারা ছিল?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয় দেশের মানুষকে শোষন ও বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য নিয়ে।
সাধারণত জাতীয় সম্মেলনের আগে জাতীয় কমিটির বৈঠক করে আওয়ামী লীগ। এই বৈঠকেই দলের জাতীয় সম্মেলনের বাজেট অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সম্মেলনে পাস করানোর জন্য দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের খসড়া নিয়েও জাতীয় কমিটিতে আলোচনা হয়। এছাড়াও সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় এবং শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় বৈঠকে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য জাতীয় কমিটিরও সদস্য। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার একজন প্রতিনিধি এই কমিটির সদস্য। এর বাইরে দলের সভাপতি ২১ জন সদস্য মনোনীত করেন। সব মিলিয়ে জাতীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৮০ জন। বছরে অন্তত একবার জাতীয় কমিটির সভা করার কথা বলা হয়েছে গঠনতন্ত্রে। তবে সভাপতি চাইলে একাধিকবারও করতে পারেন।
টিএইচ