শিক্ষা সিলেবাস ২০২৩ এর অসঙ্গতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম রোববার (২৯ জানুয়ারি) পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
লিখিত বক্তব্য রেজাউল করিম বলেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান অনুসদের বইয়ের পাঠ্যসূচির অধিকাংশ অধ্যায় আদিম সভ্যতা, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের শাসন ইতিহাস এবং নগরায়নের কথা বলা হয়েছে এবং শেষের অধ্যায় অল্প পরিসরে সুলতানি আমলের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। স্পষ্ট করে মুসলিম শাসন আমলকে দখলদারিত্ব বলা হয়েছে।
পাঠ্য বইতে হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ বেদকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলেও তিনি বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বাংলার ইসলামী পরিচয়কে আড়াল করা হয়েছে। প্রকৃতিবিরুদ্ধ দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী ট্রানজেন্ডার প্রমোট করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হিজরা আর ট্রান্সজেন্ডার এক বিষয় নয, হিজরা একটি বায়োলজিক্যাল বিষয়।
ইসলাম তাদেরকে অন্যদের মতো সম্মান-মর্যাদা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন, এখানে ছেলে থেকে মেয়ে হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যার ফলে সমাজে ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন।
তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী বইয়ের ৫২ থেকে ৫৬ পৃষ্ঠায় ছেলেমেয়েদের কোন পার্থক্য নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ এটি একটি প্রকৃতিবিরোধী বক্তব্য।
তিনি আরো বলেন, মেয়ে ও ছেলেদের বয়সন্ধিকালে যে পরিবর্তন হয় সে সম্পর্কে বিগত বছর ধরে পারিবারিকভাবেই বাচ্চারা জেনে আসছে, কিন্তু নতুন বইতে বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়েছে।
বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিকের বিবর্তনকে চাপিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে চরমোনাইর আমীর বলেন, পুরো বইটি বাতিল করতে হবে এবং সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদদের দ্বারা তা পুনরায় লিখতে হবে। বইয়ের বিভিন্ন পাতায় অশালীন ও বিতর্কিত ছবি রাখা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়াও সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন অবমাননারও প্রতিবাদ করেন তিনি।
এসময় আগামী ৩ ফ্রেব্রুয়ারি শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ ও আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সুশিল সমাজের সাথে গোল টেবিল বৈঠক কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
টিএইচ