বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার নিজেই ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু জনস্রোত আটকানো যায় নি। আজকে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। বিএনপির অফিসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষকে ঠেকানো যায়নি। তারা নদী সাঁতরে, পায়ে হেটে এবং বাধা পেরিয়ে গণসমাবেশে যোগ দিয়ে সফল করেছেন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা সহ লেবার পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, আপনি তো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন। সেজন্যই গণভবনে চিতল মাছ ধরে সেই মাছ বোন কে দেখাচ্ছেন। সেই ছবি আবার ফেইসবুকেও দিচ্ছেন। আর বুঝাচ্ছেন যে দেশের মানুষ ভালো আছেন। অথচ দেশের মানুষ টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটছে। তারা দিশেহারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি গণমাধ্যমের ঊদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আজকে সরকারের লোকেরা দুইশভাগ টাকা পাচার করেছে। এসব টাকা কিন্তু কোনো রিকশা চালক করেনি। কোনো কাঠমিস্ত্রি বা রাজমিস্ত্রি করেননি। এসব টাকা পাচার করেছে সরকারের লোকেরা। যারা বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছেন। আসলে এই সরকারের উন্নয়ন হচ্ছে জনগণকে ধাপ্পাবাজি। উন্নয়নে রড ছিলো না। যে কারণে সবকিছু এখন হুড়মুড় করে ভেংগে পড়ছে।
বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের তালিকা করা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আজকে ১৯৯ টি ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর তালিকা করছেন। এটা করছেন হুমকি দেয়ার জন্য। ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে না। আপনার ক্ষমতার মসনদ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে। আজকে সাধারণ মানুষ বিএনপির মিছিলে এসে বুক পেতে বুলেটকে বরণ করছে। সামগ্রিকভাবে জনগণ ফুসে উঠেছে। তারা রাজপথে আছে এবং থাকবে।
ইএফ