সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বিএনপির দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা

ভোটারবিহীন একতরফার নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে এগারোটায় বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে জানিয়ে আগামী দুই দিন (মঙ্গল ও বুধবার) দেশের প্রতিটি স্থানে গণসংযোগের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, এ গণসচেতনতা হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। দু’দিন পরে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, রোববার দেশে যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি সরকারের পাতানো ডামি নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রমাণ হচ্ছে যে, সারা দেশে অনেক কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। এমনকি ভোটারও আসেনি। বিরোধী দল না থাকলেও ভোটের হার বাড়ানোর জন্য ভোট কারচুপি করেছে সরকার। এটিই প্রমাণ করে পাতানো ডামি নির্বাচনের ফাঁদে পা দেয়নি দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।

লিখিত বক্তব্যে মঈন খান বলেন, বিভিন্ন আসনের ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। বাংলাদেশে যেখানে নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান একটি রাজনৈতিক উৎসবে পরিণত হয়। সেখানে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোট পড়েনি। এটা প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন প্রহসনের যে নাটক করেছে গতকাল-সেটি ছিল একটি প্রহসনের নির্বাচন। একটি ভুয়া নির্বাচন। শুধুমাত্র এই নির্দিষ্ট ১৯টি কেন্দ্রেই নয়, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি আসনেই এমন অনেক কেন্দ্রেই রয়েছে-যেখানে একটিও ভোট পড়েনি। কিংবা সারাদিন হয়তো ১০-২০টি ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেই আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং ১৫ ব্যক্তিকে জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয় দলটি। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

টিএইচ