সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বিএনপির ব্যর্থতার জন্য জনগণই তাদের বয়কট করবে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ব্যর্থতার জন্য জনগণই তাদের বয়কট করবে: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের সরকারের পদত্যাগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জওয়াবে বলেছেন, বিএনপির কবে সম্মেলন হয়েছে তাদের মনে আছে? মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞেস করুণ কবে তাদের শেষ সম্মেলন হয়েছে, দেখবেন বলতে পারবেনা। মনে নেই। কিন্তু আমরা তিনটা সম্মেলন করে ফেলছি।

সুতরাং তারা আমাদের কি পদত্যাগ করাবে? তারা যে নিজেরা ব্যর্থ তার জন্য কয়দিন পর জনগণই তাদের বয়কট করবে।

রোববার (২২) জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ডিটিসিএ‍‍`র নতুন ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে নির্বাচনে ব্যর্থ তাদের নিজেদেরই পদত্যাগ করা উচিত। দিন যায় বছর যায় সম্মেলন হয় না তাদের নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  ‍‍`পিটার হাস‍‍` কে অনুরোধ করবো যারা বলে ডেমোক্র্যাসি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করে তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন তাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই কেনো?

সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে তাদের (বিএনপির)  কোন অবদান নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখেন কিন্তু তাদের আন্দোলনে তারা জনসাধারণকে যুক্ত করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ আন্দোলন করেছে, জনগণ কয়দিন পরে তাদেরকে বয়কট করবে এ ব্যর্থ আন্দোলনের জন্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব সংকটে দেশের জনগণ কষ্ট পাচ্ছে, আমরা বিশ্ব সংকটের মূল্য দিচ্ছি, বিরোধী দলের সহায়তা দরকার ছিলো। যেটা তারা করছেনা উল্টো সরকার পতনের আন্দোলন করছে। বিশ্বের কোথাও এই সংকট সময়ে এ আন্দোলন হয়না। সোমালিয়ায় ৩৬ সেকেন্ডে একজন মানুষ মারা যায় সেখানেও সরকার পতন আন্দোলন হয়না। আর বিএনপি  সংকটে দেশের জন্য না ভেবে তারা সরকারের সাথে সংঘাতে যাচ্ছে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনেতো নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগ সরকার শুধু সহায়তা করবে। যেনো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।

বিএনপির সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ১০ তারিখের আন্দোলনে ব্যর্থ তাদের পতন চায় জনগণ, যারা আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থ। যেটা ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০ সিটও পায়নি। সেখানে  উল্টো তাদেরই ভরা ডুবি হয়েছে। ১৪/১৮ নিয়ে কথা বলেন, সমালোচনা করে সেটাতেও জনগণ তাদেরকে বয়কট করেছে।

তিনি বলেন, পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে উলটো পালটা তথ্যের বিষয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যপারে  প্রধানমন্ত্রী নিজেই আলাপ আলোচনা করছে। সুতরাং সে যখন সিদ্ধান্ত জানাবেন তখনই জানা যাবে কে হচ্ছে।

সমন্বয় কমিটির ব্যপারে তিনি বলেন, রোডস এন্ড হাইওয়ে সেক্টরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার সভাপতি হবেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্ষার শুরুতেই রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ করতে হবে। এছাড়াও দূষণ বন্ধে সিটি করপোরেশনসহ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে খোড়াখুড়ির কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে হবে। এবং ঢাকায় ৪টি বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তা ঘাট, পদ্মা সেতু, উড়াল সেতু যাই করা হোক শৃঙ্খলা না হলে সকল উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশ অনেক উন্নত হচ্ছে যেটা স্পষ্ট। কিন্তু সব বৃথা হয়ে যাবে যদি শৃঙ্খলা না থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের সবাই  বলে বিস্ময়। এতো উন্নয়নের পরও সড়ক ও পরিবহনে শৃংখলা নেই। দ্রুত শৃঙ্খলা আনতে হবে। শৃঙ্খলার জন্য সচেতনার বিকল্প নেই।

উক্ত বোর্ডসভায় আরো উপস্থিত রয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, সড়ক সচিব এবিএম আমানউল্লাহ নুরী, ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালকসহ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের একাধিক কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ