সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বিদেশিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব: ড. মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব: ড. মোমেন

বিদেশি দূতরা কোড অব কনডাক্ট না মানলে শক্তিশালী দেশগুলো চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু শক্তি না থাকায় সে পথে যেতে পারছে না বাংলাদেশ। তবে সময় হলে বাংলাদেশও অ্যাকশনে যাবে বলে হঁশিয়ারি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক চ্যারিটি বাজার’ উদ্বোধন করা হয়। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি দূতরা কোড অব কনডাক্ট মানছেন না। তাহলে বাংলাদেশ কী বিদেশিদের বক্তব্যকে পাত্তা দিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য রাশিয়ার ২০-২১ জন কূটনীতিককে বের করে দিয়েছে। তারা শক্তিশালী দেশ বলে অনেক কিছুই পারে। আমাদের সেই শক্তি নেই বলে আমরা এই পথে যাই না। তবে সময় হলে আমরাও বিদেশিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব।

ড. মোমেন বলেন, এটা দুঃখজনক যে কিছু লোক বিদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তারা চান বিদেশিরা কিছু বলুক। তবে বিদেশিরা যখন স্বদেশের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন সে দেশের আর মঙ্গল হয় না। আপনি আফগানিস্তানের দিকে দেখেন, বিদেশিদের জ্বালায় কি কষ্টে আছে। চিলিতে একই ঘটনা ঘটেছিল। চিলির নির্বাচিত সরকারও বিদেশিদের জ্বালায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমাদের কিছু লোক বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়। তারা যখনই মাতব্বরি করেছেন, তখন ওই দেশের অবস্থা খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে এক পয়সাও পাত্তা দেয় না। ভারতেও বিদেশিরা অনেক কিছু বলে, তারাও পাত্তা দেয় না। যাদের সম্মান আছে, তারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে না। তবে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, যেখানেই তারা এসেছেন, সমস্যা হয়েছে। এজন্য ওদের পরামর্শ শোনার প্রয়োজন নেই আমাদের। তবে তারা বলতে পারেন, আমরা শুনতে পারি। তারা যদি আমাদের কিছু জানাতে চান, আমাদের জানাতে পারেন।

ড. মোমেন বলেন, বিরোধী দলের বিদেশিদের কাছে মায়া কান্না না করে, জনগণের কাছে গেলেই ভালো হবে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে চ্যারিটি বাজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন ড. মোমেন।

টিএইচ