দেশের ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দর হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, উপ-নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে তথ্য অধিদপ্তর, পিআইডি সম্মেলন কক্ষে পিআইডি প্রকাশিত ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। উপ-নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। আর যেখানে জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে, অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসে তারা বলেছিল সরকারের বিদায় হবে এবং সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বর মাসে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা পড়ে গেছে। এরপর থেকে এখন তারা হাঁটা শুরু করেছে।
বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হবে না। সরকারের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের যে কোমর ভেঙে গেছে সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমে পারিষ্ফুটিত হয়েছে, বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও যে তাদের সম্ভাবনা নেই সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানা ধরণের কথা বলে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে, এটি অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না।
আবার যারা ভোটার হন সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে আমাদের উপ-নির্বাচন যেটি এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবেন, সেখানে অনেক ভালো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মনিটরিং মুন্সি জালাল উদ্দীন।
টিএইচ