বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের এখন টিকে থাকার উপায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাইকারী হারে গ্রেফতার করা। সরকার এখন বেপরোয়াভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করে জেলখানা পূর্ণ করছে। আইন আদালতেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না। আইন আদালতকে কব্জায় নিয়ে আওয়ামী সরকার দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করছে, সেজন্যই বিএনপির নেতাকর্মীরা কোন সুবিচার পায়না।
উচ্চ আদালতের জামিনে থাকা গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সোহরাব উদ্দিন নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে, রাজকোষ শুন্য হয়ে পড়েছে। চারিদিকে হাহাকার উঠেছে। তাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা দেয়ার জন্যই বিরোধী কন্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্বিচারে ব্যবহার করছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। সরকারের হুকুমেই আইন-আদালত-প্রশাসন উঠবস করে।
তিনি আরো বলেন, উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত মো . সোহরাব উদ্দিন বিদেশে থাকাকালীন গাজীপুরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতন নিপীড়ণের মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিসন্ধি করছে। দেশ আজ আওয়ামী স্বৈরশাসনে এক বৃহত্তর বন্দীশালা। বিএনপিসহ বিরোধী মতের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক অসত্য মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিরুদ্দেশ গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য কেউ যেন আন্দোলন করতে সাহসী না হয়। তবে তৃণমূল থেকে মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। সরকারের অবিচার ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে তারা এখন রুখে দাঁড়াচ্ছে।
ইএফ
