ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে চমকপ্রদ উত্থান ও বিকাশের উদাহরণ ড. হাছান মাহমুদ। স্কুলজীবন থেকেই যিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক পরিপক্বতার প্রাক্কালে বহুমুখী নেতৃত্বগুণের অধিকারী হাছান মাহমুদ দল ও সরকারে কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। তৃণমূলের নেতা হাছান মাহমুদ তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই যেমন ঈর্ষণীয় অবস্থান গড়ে তুলেছেন তেমনি সরকারি দায়িত্ব পালনেও সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পর্যায়েও গড়ে তুলেছেন ঈর্ষণীয় অবস্থান। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কঠোর পরিশ্রম আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় প্রতিটি সেক্টরেই সাফল্যের ছাপ রাখা হাছান মাহমুদের রাজনৈতিক উত্থান দেখা গেছে আওয়ামী লীগের সবশেষ ২২তম জাতীয় সম্মেলনেও। যেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদেও ঘটেনি রদবদল সেখানে হাছান মাহমুদের দলীয় পদোন্নতির বিষয়টি তারই বহুমুখী সাফল্য ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার আস্থা অর্জনের জন্যই— বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদায়ী কমিটিতে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের স্থলাভিষিক্ত হলেন বীর চট্টলার এই কৃতী সন্তান ড. হাছান মাহমুদ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক-এগারো সরকার আমলে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেই শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করেন হাছান মাহমুদ। ওই সময়েই শেখ হাসিনার সুনজরে আসেন তিনি। ওইসময় শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য ক্রিয়াশীল বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন তিনি। বিশেষ করে আইনজীবী, চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ের মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ওয়ান-ইলেভেনের মধ্যেই শেখ হাসিনা মুক্ত হওয়ার পর হাছান মাহমুদও আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরসঙ্গী হন, আবার দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখেন। মূলত ওয়ান-ইলেভেনের ভূমিকার কারণেই তিনি রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা পান এবং শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বিশ্বস্ত হিসেবে স্বীকৃতিও পান। দল ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। যে কারণে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যও হন তিনি। দুটি ক্ষেত্রেই দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তৃতীয়বারের মতোও মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং দলীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন করে পুরস্কৃত করেন শেখ হাসিনা। দুটি পদেই অভাবনীয় সাফল্যের বিবেচনায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবারের সম্মেলনেও তাকে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
মানবিকতায়ও পিছিয়ে নেই হাছান মাহমুদ। করোনা সংকটে দেশ ও জাতির জন্য ঝুঁকি নিয়েই উদার দিলে কাজ করে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। যেখানে নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে অনেককেই নানান অজুহাতে ঘরে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু করোনাকালে একদিনও ঘরে বসে থাকেননি হাছান মাহমুদ। প্রতিনিয়ত মন্ত্রণালয়ের কাজে ছিলেন সক্রিয়। করোনাকালে অন্যান্য পেশার মতো গণমাধ্যমকর্মীরাও অসহায় হয়ে পড়েন। অনেকেই বেতন-ভাতা এবং চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন। ঠিক সে সময়েই তথ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নেন বকেয়া বিজ্ঞাপন বিল প্রদানের উদ্যোগ। যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ব্যবস্থা করেন প্রণোদনা। মন্ত্রিত্ব এবং করোনা মোকাবিলায় জাতির পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মুহূর্তের জন্যও অমনোযোগী হননি দলীয় কার্যক্রমেও। করোনা পরিস্থিতিতে দলের প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছিলেন অগ্রভাগে। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন নিয়মিত। ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে হলেও যোগ দিয়েছেন দলের সভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল হাছান মাহমুদের নেতৃত্বাধীন তথ্য মন্ত্রণালয়। তারই নির্দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরুর আগে থেকেই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বহুমুখী কার্যক্রম করেছিল মন্ত্রণালয়টি। তথ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বিশেষ করে জনগণকে ভাইরাসটির প্রকোপ থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। যে কারণে জাতির পাশাপাশি বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায় তথ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট খাত। জাতীয় পর্যায়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজ নির্বাচনি এলাকা ভুলে যাননি ড. হাছান মাহমুদ। নিজ নির্বাচনি এলাকায়ও সমানতালে সে সময় কাজ করেছেন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের এ সংসদ সদস্য। নির্বাচনি এলাকার মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারি ত্রাণ সহায়তা সুষম বণ্টনে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ। ব্যক্তিগতভাবে করোনা থেকে রক্ষা পেতে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছেন। অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নে। চিকিৎসক ও নার্স সুরক্ষায়ও নিয়েছেন পদক্ষেপ।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
ড. হাছান মাহমুদ ১৯৬৩ সালের ৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে তিনি বন ও পরিবেশমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৬ আসন এবং দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের রাজনৈতিক জীবনে বারবার মৌলবাদী অপশক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। এমনকি কয়েকবার তার প্রাণনাশেরও চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো রক্তচক্ষুই হাছান মাহমুদকে তার সংগ্রামের পথ থেকে পিছু হটাতে পারেনি। ড. হাছান মাহমুদের মধ্যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মেধার অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয়পর্যায়ে এবং বিদেশেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রামের সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সময়ে তিনি বয় স্কাউটের দলনেতা ছিলেন। জুনিয়র রেডক্রস টিমেরও সদস্য ছিলেন। আন্তঃবিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগতায়ও তিনি স্কুলের বিতর্ক দলের দলনেতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক দলের দলনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রথমে চট্টগ্রাম শহরের জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হন।
তিনি ১৯৭৮ সালে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সরকারি হাজি মহসিন কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যখন দুটি কলেজ (সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং সরকারি ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট) যুদ্ধ করে হাজি মহসিন কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি সামরিক শাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তার সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে বিপুল বিজয় লাভ করে। সেই নির্বাচনের সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে নিবার্চনে প্রার্থী হতে না পারলেও তিনিই ছিলেন সেই নির্বাচনে সমস্ত প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান।
১৯৯২ সালের শুরুর দিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার কার্যকরী সংসদের সবচেয়ে নবীনতম সদস্য মনোনীত হন। ১৯৯২ সালে তিনি উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান। সেখানে তিনি ১৯৯৩ সালে ব্রাসেলসের বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ইউরোপের একটি শীর্ষ র্যাংকিং ইউনিভার্সিটিতে ব্রাসেলসের ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৯৪ সালে তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভার্সিটির সভাপতি নির্বাচিত হন, যা ৬০টি দেশের ১৫০০ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে। বেলজিয়ামে ড. মাহমুদ ১৯৯৩ সালে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে এবং ১৯৯৫ সাল থেকে মার্চ ২০০০ পর্যন্ত বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. হাছান মাহমুদ ২০০১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির বিশেষ সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি একযোগে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশ ও বনবিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। ২০০৭ সালে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সামরিক সমর্থিত সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার করা হয়, তখন ড. হাছান মাহমুদ দলীয় সভাপতির মুখপাত্র হিসেবে অকুতোভয়ে কাজ করেন, যা দলের সব কর্মী ও সমর্থকদের দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়।
২০০৮ সালে তিনি তখনকার দেশের নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯-২০১৩ সময়কালে তিনি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগের পূর্বে ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. হাছান মাহমুদ ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে বয়ঃকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন। তিনি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন খ্যাতিমান পরিবেশবিদ হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পরবর্তীতে সরকারের পরিবেশমন্ত্রী এবং বর্তমানে জাতীয় সংসদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু জনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসনীয় হয়েছে এবং হচ্ছে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর, ‘গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল’ তাদের সাধারণ অধিবেশনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তার শক্ত ও জোরালো ভূমিকার জন্য তাকে ‘সার্টিফিকেট অব অনারেবল মেনশনে’ ভূষিত করে। (এটি গ্রিন স্টার পুরস্কারেরই একটি অংশ)। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মবীর হাছান মাহমুদ ছাত্রজীবন থেকে মেধার পরিচয় বহন করে আসছেন। মাঠের রাজনীতিতে তিনি কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই ছুটে আসে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। কর্ম আর মেধার চমৎকার সমন্বয়ে ছাত্রনেতা থেকে জননেতায় পরিণত হয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ।
টিএইচ