বিএনপির ঢাকার সমাবেশ নয়াপল্টনেই করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে এ নিয়ে সংঘাতের পথে না যেতে এবং উস্কানি না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছেন তিনি।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সংঘাতের পথে যাবেন না, উস্কানি দেবেন না। দয়া করে সিদ্ধান্ত বদল করে নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা করুন। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমরা সমাবেশ করতে চাই। নয়াপল্টনেই আমরা সমাবেশ করব। আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন।’
সারা দেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার ফেরত দিন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা থাকতে পারেনি। ১৯৯০ সালেও এরশাদের পতন ঘটেছে। জনগণ আজ জেগে উঠেছে। জনগণের আন্দোলন তাদের মুক্তির আন্দোলন। জনগণ আওয়ামী লীগের এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এদের কানে কথা যায় না। এরা বুঝতে চায় না। আগেও বলেছি দেয়ালের লেখা ওরা বুঝতে চায় না, মানুষের চোখের ভাষা বুঝতে চায় না। সেই কারণে তারা একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
হঠাৎ সরকার ভীত হয়ে বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল এবং আন্দোলন দমনে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে অনেক সমাবেশ হয়েছে। এখানে জাতীয় সমাবেশ হয়েছে, মহাসমাবেশও হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এখানে সভাপতিত্ব করেছেন। ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ হয়েছে। কোনো দিন কোনো সমস্যা হয়নি।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্ব এবং দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
টিএইচ