সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

সরকারকে সরাতে এখন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার করছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারকে সরাতে এখন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার করছে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন কোন ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে সরাতে কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের উপরে ভর করার চেষ্টা করছেন। তাদের নিয়ে করুনা করা যায়। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার, সেটি মেনে নেয়া যায় না। যেগুলো ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। বাকি বইগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত আছে। সবাই মতামত দেন। যেসব মতামত যৌক্তিক তা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি সবার কাছে অত্যান্ত কৃতজ্ঞ এবং আমি আনন্দিত এই জন্য যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পাশাপাশি দেশের সকল মানুষ পাঠ্যবই পড়ছেন। আমি চাই এটি তারা আরো সুক্ষভাবে দেখুন। যত গঠনমুলক সমালোচনা ও পরামর্শ রয়েছে আমাদেরকে দিক, আমরা খোলা মনে সমস্ত পরামর্শ বিবেচনা করবো। যেখানে যৌক্তিক হবে, সেখানে পরিমার্জন, পরিশোধন, পরিশীলন করা হবে। এটি আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বই না পড়ে, না দেখে কেউ একজন বলেছে তা শুনে অপরাজনৈতিক হিংসা, বিদ্বেষ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন। তারা চায় যে এ সরকার না থাকুক। স্মার্ট বাংলাদেশ কি দরকার। তারা চায় পাকিস্তান। এরকম একটি গোষ্ঠী বলছে, নতুন বইয়ে ইসলাম নাই, যা আছে ওটা ইসলাম বিরোধী। আপনার আশপাশে ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড  (এনসিটিবি) এর  ওয়েবসাইটে বই আছে আপনি দেখে নিন। চিলে কান নিয়ে গেছে আপনি তার পিছে না ছুটে নিজে দেখুন।

শিক্ষামন্ত্রী আরো  বলেন, আমাদের এবারের বইগুলো শিক্ষক, অভিভাবক-শিক্ষার্থী, শিক্ষবিদ, বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানির পরামর্শ নিয়ে করা হয়েছে। আমরা তো মানুষ। আমাদের ভুল হতে পারে। ৩৫ কোটি বই ছাপা হয়, এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর বিদ্যুতের সমস্যা ও কাগজের সংকট ছিলো। 

প্রকাশকদের নিয়েও নানান ধরণের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। যেখানে ভুল থাকবে, যেখানে ধরা পড়বে আমরা তার সকল যৌক্তিক ভুল সংশোধন করবো। কিন্তু যারা মিথ্যাচার করছেন তা মেনে নেয়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বাতিল করা একটি বইয়ের বর্ণপরিচয় থাকা একটি পৃষ্ঠার সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে যে আমি পৌত্তলিকতা শিখাচ্ছি। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে জীবনের হুমকি দেয়া হলে সেটি সামাজিকতা নয়। 

যেসকল শিক্ষকরা সামান্য সম্মানির বিনিময়ে দিনের পর দিন কষ্ট করে বইগুলো সম্পাদনা করে তাদের যদি হুমকি দেয়া হয় তাদের আমি কী বলবো। তিনি বলেন, কোন  মিথ্যাচার ও অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। যা যৌক্তিক, সঠিক আমরা তা নিশ্চয় গ্রহণ করবো। কোন কিছু ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে সরাতে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের উপরে ভর করার চেষ্টা করছেন, তাদের নিয়ে করুনা করা ছাড়া আর কিছু করার সাধ্য নাই।  কারণ তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার। যে সকল ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। 

নবম-দশম শ্রেনির বই নিয়ে বির্তক তোলা হচ্ছে তা ১০ বছর আগে তৈরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি গত দশ বছর পরে ধরা পড়ছে। এটি দেশের একজন প্রখ্যত শিক্ষাবিদ সংশোধন করেছেন। তিন দফায় সেটি সংশোধন করা হলেও সেই ভুল রয়ে গেছে। সেটি এবার সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার করার আহ্বান জানাই।

টিএইচ