সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

সারাদেশে নিহত, আহত ও হামলার চিত্র তুলে ধরলো বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশে নিহত, আহত ও হামলার চিত্র তুলে ধরলো বিএনপি

সারাদেশে আহত নিহত ও হামলার চিত্র জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৭ নবেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয় এ চিত্র তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি  বলেন, সারা দেশের আহত, নিহত ও গ্রেপ্তারের চিত্র তা হলো ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের গণ-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে নোয়াখালী, ফেনী, মিররইশরাই, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি থেকে আসা প্রায় ২শতাধিক  নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আহত করেছেন।

১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের গণ-সমাবেশের আগের রাতে মরহুম নেতা মোশারফ হোসেনের বাসা ভবনে বোমা হামলা চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। পাগলা থেকে আসা নেতা জসিম উদ্দিনসহ ১০ জনকে আহত করে।

২২ অক্টোবর খুলনার গণ-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং সরকারি বাহিনী দ্বারা আহত এবং গ্রেপ্তার করেছে। খুলনা মহানগরে আহত প্রায় ৩শ। খুলানা জেলায় আহত প্রায় শতাধিক। গ্রেপ্তার ৫০এর অধিক।

যশোর জেলায় আহত শতাধিক ও গ্রেপ্তার শতাধিক। চুয়াডাঙ্গা জেলায় আহত ১৪। কুষ্টিয়া জেলায় আহত ১৮ জন। বাগেরহাট জেলায় আহত দুই শতাধিক এবং গ্রেপ্তার শতাধিক। নড়াইল আহত ২৬ জন। ঝিনাইদহে আহত শতাধিক, মাগুরায় গ্রেপ্তার প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী। সাতক্ষীরা জেলায় আহত ১০ জন এবং গ্রেপ্তার ২০ জন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাগেরহাট জেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূইয়া তনুকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে।

৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগের গণ-সমাবেশে যাওয়ার পথে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের গাড়ি বহরে হামলা, ভোলা থেকে আসা লঞ্চে হামলা, পটুয়াখালী পার্টি অফিস ও কলাপাড়া পার্টি অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

গৌড়নদী, আগৈলঝরায় বিএনপি নেতাদের মালিকানাধীন ২৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করে ২ শতাধিক নেতা-কর্মীদের আহত করা হয়েছে এবং ৫০ এর অধিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর বিভাগে গণ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে ২০ জন নেতা-কর্মীকে আহত এবং ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

১৯ নভেম্বর  সিলেট বিভাগের গণ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার ও হামলা অব্যাহত রেখেছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে হবিগঞ্জ জেলা লাখাই উপজেলায় দলীয় কার্যালয়ে ওসি (তদন্ত) চম্পক, সাব ইনসপেক্টর দেবাশীষ ও রব্বানির নেতৃত্বে গুলি চালিয়ে ৩০ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন। ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগে প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

৩ ডিসেম্বর  রাজশাহী বিভাগে গণ-সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য মোহনপুর থানাধীন মৌগাছি ইউনিয়নে বসতদিয়া ডিগ্রী কলেজে বোমা পেতে রেখে পুলিশ উদ্ধারের নাটক করে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের উপর মামলা দায়ের করেছেন।

সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জে প্রচারপত্র বিলির সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ইকবাল হোসেনসহ ২০ নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন। সিরাজগঞ্জ জেলার এসপি আরিফ মন্ডল বিভিন্ন থানার ওসিদেরকে সমাবেশের প্রচারণা যেন বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা না চালাতে পারে তার নির্দেশ প্রদান করতেছে।

ঢাকার সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষে মুন্সিগঞ্জে আমাদের নিরীহ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে শহিদুল ইসলাম শাওনকে হত্যা করে আবার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় বিএনপি’র সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে মিথ্যা মামলায় জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আলী আকবর চুন্নুসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে ৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও এ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ৫০ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন।

টিএইচ