সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আরেকজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক, টুঁ শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেননি। বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসব রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছেন। ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করেন না বলে প্রতিবাদ জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে গতকাল মঙ্গলবার বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামের এক বাংলাদেশি নিহত হন। আর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামের (১৯) এক বাংলাদেশি তরুণকে নিয়ে যায় বিএসএফ।
দুই ঘটনার পর আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আরেকজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে । মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণবিনাশী রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, শুধু সীমান্তে মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না তাঁবেদার সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।
তাঁরা ক্ষমতা ধরে রাখতে সবকিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ একবিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত–নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।
টিএইচ