আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হোসেন সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটা আমরা আজও জানি না। কোনোদিন জানা যাবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা যাবে না। হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানুষপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূলভৌত। সোহরাওয়ার্দী বলেছেন, ‘শাসনতন্ত্রের পাশে জনগণের রায়ই শেষ কথা।’ আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা; তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা জরুরি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কী ভাবে হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন। এগুলো এ দেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনও সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশে অন্তরায়।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।
টিএইচ