আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন চান তিনি এবং দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটি মাইলফলক স্থাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তাদের বিজয়ী করবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বুধবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় দলের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথ প্রশস্ত করবে। শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘কারণ অনেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক খেলা খেলতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে, তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি বলেন, ‘তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন আর এ ধরনের খেলা খেলতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।‘এখানে, কেউ কাউকে প্রতিরোধ করতে পারে না। আমি কোনো ধরনের সংঘাত চাই না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, `আমি যাকে চাই তাকে ভোট দেব’।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সুতরাং দয়া করে আপনার পছন্দ মতো ভোট দিন, তবে আমি কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে এবং সবাইকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।’
সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ‘আমাদের সেই পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’
রেললাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তিনি আবারও বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের জবাব দিতে হবে বাংলাদেশের জনগণকে। তিনি বলেন, `৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হব এবং জনগণই বিজয়ী হবে।’
বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতার উপযুক্ত জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়া জরুরি। এটাই আমরা চাই।’ শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে এবং মনোনয়ন না পাওয়া দলের প্রার্থীদের জন্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করা হয়েছে।
পরে তিনি গাইবান্ধা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
টিএইচ