শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে: মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে: মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মকে আমরা স্মরণ করে দিতে চাই। আওয়ামী লীগ সরকার এই দিনে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এদেশের সব দেশকে রাজনীতি করার স্বাধীনতা এবং অধিকার দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে। আর জিয়াউর রহমান দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে  তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে বেলা ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৃথক পৃথক ব্যানার নিয়ে নয়াপল্টনের সামনের সড়কে মিছিল করছে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটিয়েছে।

২০১৮ সালে কোন ভোট হয় নাই। গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতা দখল করে। যারা আওয়ামী লীগ তারা দেশে বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর বিএনপি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে পুনরুদ্ধার করেছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই বলে দেশের মানবাধিকার নাই। আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের শপথ করতে হবে দশ দফার ভিত্তিতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের বাকশালের চরিত্র এখনো বদলাইনি। এখনো সেই আগের মতো নির্যাতন ধন সম্পদ লুট সবই করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের চরিত্র এমনই তাদের বদলানোর সুযোগ নেই। বেইমানদের চরিত্র একই রকমের থাকে।

বাংলাদেশকে মুক্তির সন্ধান দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়া উর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশকে মুক্তির বার্তা আগেও বিএনপি দিয়েছিল আবারও সেই বিএনপির অপেক্ষায় মুক্তি অপেক্ষা করছে। আজকে আবার আমাদেরকে শপথ করতে হবে হাসিনার কারাগার ভেঙে দিতে হবে। হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ভারতে ছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করলেও কোন লাভ হবে না। আওয়ামী লীগ কখনো মুক্তিযুদ্ধের স পক্ষের শক্তি হতে পারে না। এ দেশে মুক্তি যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তিনিই দেশকে মুক্তি করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করে না। 

তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতি করে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ করো দাসত্ব করে না। আমরা কারাগার থেকে মুক্তি চাই না। আমরা আমাদের চিন্তার মুক্তি চাই। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকার মেগা উন্নয়নের নামে মেঘা দুর্নীতি করে যাচ্ছে। এই সরকার ভোটকে ভয় পায়।

ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের হত্যা করেছিল। একদল এক ব্যক্তির শাসনে বাকশাল কায়েম করেছিল। এ সরকার অতীতে অনেক সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলো। আবারও সেই রূপ দেখা যাচ্ছে। এই এ সরকার পুরো দেশটাকে এখন কারাগার বানিয়ে ফেলছে। 

তিনি বলেন, আমাদের কারাগারে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলন আরো গতি পেয়েছি। হাসিনার পতন হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শেখ হাসিনার অধীনে দেশের কোন নির্বাচন হবে না। দেশ চলবে তারেক রহমানের নির্দেশ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আর এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চান না। এই সরকারের চরিত্র হলো এক দলীয় শাসন কায়েম করা। দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ কেউ আর একনায়কতন্ত্র সরকার চায় না। যেভাবে আন্দোলন হলে সরকারের বিদায় হবে আমরা সেভাবে এখন আন্দোলন করবো।

সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্ট, চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর শারাফাত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান,কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

টিএইচ