বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোন জাতি বা গোষ্ঠীর নয়, এই আন্দোলন আপামর জনতার। যদি কেউ এই আন্দোলনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে।
জামায়াতে আমির বলেন, এমন একটি দেশ আমরা গঠন করতে চাই, যে দেশে জাতি, দল, ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ একসাথে শান্তিতে বসবাস করবে। এ দেশের মানুষ বিশ্বের যেখানেই যাক গর্বের সাথে বলবে আমি একজন বাংলাদেশি।
কোন বিশেষ বিশেষ সময় হিন্দু ধর্মের উপাসনালয় পাহারার প্রয়োজন হবে না।
এ দেশে সবাই সমান নাগরিক। আমাদের সন্তানেরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে, এর মাধ্যমে সকল প্রকার বৈষম্যের কবর রচনা হোক।
সোমবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জেলা জামায়াতের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে, তাদের বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে। যাতে শহীদদের পরিবার বলতে পারেন, আমাদেরও একজন শহীদ আছে। আমাদেরও একজন আবু সাইদ আছে, আমাদেরও একজন মুগ্ধ আছে, আমাদেরও একজন রুদ্রসেন আছে, আমাদেরও একজন রাহুল আছে।
সাদাকে সাদা হিসাবে তুলে ধরে সমাজকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কালদের অপসারিত করতে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। কাউকে ছাড় দেয়া যাবেনা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম, জেলা আমির আনিসুর রহমান,জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান ভুট্টু,মাইনুল আলম, মেহেরাব আলী, আফতাব উদ্দিন মোল্লা,সিরাজুস সালেহিন প্রমুখ।
দোয়া অনুষ্ঠানের আগে জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরস্থ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেট শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ রুদ্র সেনের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সাথে দেখা করেন।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭ পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। খোঁজখবর নেয়া হয় নিহত ৭ পরিবারের।
টিএইচ