সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

‘গ্রাম ও শহরের দূরত্ব দূর করেছে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ’

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

‘গ্রাম ও শহরের দূরত্ব দূর করেছে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

শুধু তাই নয়, গ্রাম ও শহরের দূরত্ব দূর করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই সুযোগ গ্রহণ করে এ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে।

শনিবার নাটোরের সিংড়ায় গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে  দুদিনব্যাপী আইসিটি চাকরি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে দুদিনের এই উৎসবে সিংড়া উপজেলার ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৬১৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের চাকরিপ্রার্থী হিসেবে এবং দেশের ২৮টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান চাকরিদাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এক হাজার ৩০০ জনের মধ্যে ২০ জনকে নিয়োগপত্র প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী। উৎসবে চাকরি সহায়ক তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক পাঁচটি সেশনে দেশের উদ্যোক্তারা তাদের কার্যক্রম ও সফলতার গল্প শোনান।

এর আগে শনিবার সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশাল এক সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্যের সাথে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন তৈরি করে দেয়া হবে।

এভাবে এই প্রজন্ম স্মার্ট হবে। গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট দেশ।
উৎসবের প্রথম দিন শুক্রবার একই স্থানে দিনব্যাপী সিংড়া আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। এই ক্যাম্পে দেশের খ্যাতনামা ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সফলতার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এখন শহর আর গ্রাম, ধনী আর গরিব এবং নারী আর পুরুষের মধ্যে কোনো ব্যবধান নেই। বিদ্যুৎ, যোগাযোগ আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগে গ্রামগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ২০ হাজার টাকা করে কর্মসহায়ক অনুদান প্রদান করা হবে।

উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওহিদুর রহমান, মওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ