বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জোর করে কারো কন্ঠ রোধ করা যায় না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পরির্বতন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। কন্ঠ রোধ করতে এ আইন করা হয়েছে।
জনগনের আন্দোলনের মুখে সরকারের ধাপ্পাবাজি খড়কুটোর মত এসব উড়ে যাবে। তিনি বলেন, মিডিয়ার শক্তিকে সরকার ভয় পায় বলে নতুন নতুন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
সরকার আদালতের মাধ্যমে বলেছে তারেক রহমানের কথা কোনো রকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না, সরিয়ে দিতে হবে। আসলে সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়, তার কন্ঠকেও ভয় পায়।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর ১৮তম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হলেও আজকে ৫০ বছর পরও দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে তুলে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে আওয়ামী লীগে। এই গণতন্ত্র হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে একদিন জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকার জনগণকে ভয় পায়, বেগম জিয়াকে ভয় পায়। সরকার মনে করেছিলো তাকে কারারুদ্ধ করলে দেশের মানুষ চুপ হয়ে যাবে। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েও দেশের মানুষকে চুপ করে দেয়া যাবে না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। সরকার কূটনীতিতে ব্যর্থ। চরম বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রত্যাখান করেছে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ।
এজন্য ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি। সরকারের উপর জনগনের আস্থা না থাকার কারনে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতা কর্মকান্ডে ধাপ্পাবাজি করে দেশ চালাতে চায় সরকার। তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা।
বিএনপি গত এক বছর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। আগামীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নৈতিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাছের রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
টিএইচ