ঢাকা শহরের বাসগুলোর দিকে তাকানো যায় না বলে আক্ষেপ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছে।
কিন্তু ঢাকা শহরের বাসগুলো দিকে তাকালে কি তা মনে হয়? বাসগুলোর দিকে কি তাকানো যায়? তাকালে মনে হয় বাংলাদেশ অনেক গরীব। কি ভয়ংকর গাড়িগুলোর চেহারা। এর থেকে গ্রাম অঞ্চলের গাড়ি অনেক সুন্দর।
শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একেকটা নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করি। কি প্রত্যাশা নিয়ে পালন করি। সড়ক পরিবহনে আমরা যে আইন করেছি, তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
সড়কে কতটা যানজট কমেছে? ঢাকার বাহিরে মোটরসাইকেল কি শৃঙ্খলা ফিরেছে? রাজনৈতিক তরুণরা শৃঙ্খলা তো মানেই না।
রাস্তায় দুর্ঘটনা কমেছে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। সড়কে এগুলো নিয়ন্ত্রণ ও এই শৃঙ্খলা ফিরাতে হলে আমাদের আগে সচেতন হতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ছোট ছোট গাড়ি অনেকের জীবীকার সাথে জরিত। অনেক গরীব মানুষ এটার সাথে জরিত। তাদের স্বার্থে আমাদের একটা নীতিমালা করতে হবে।
শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের অনেক নেতা আছে। যারা চুরি বাটপারির সাথে জড়িত। তারা নিজেদের পকেটের উন্নয়নে কাজ করে। এদের আর কত টাকা দরকার।
অন্যের টাকা চুরি করে কিভাবে নেতা হবেন তাইলে। এমন নেতা আমাদের দরকার নেই। আমরা চাই-সবাই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা হোক। এসময় নিজের দায়িত্ব পালনে এক টাকাও পার্সেন্টেজ নেয়নি বলে দাবি করেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।
টিএইচ