বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথকে সুগম করতে হবে এবং সেটাই হবে আমাদের একমাত্র যোগ্য কাজ। সেটাই হবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয় দাবি।
রোববার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা নেতাকর্মী সমর্থক রয়েছি, আমরা সকলে একসাথে একযোগে এগিয়ে যাই। একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে কথা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বারবার বলছেন, আপনাদের আচার-আচরণের ওপর নির্ভর করবে সামনের দিনে আপনারা জনগণের ভালোবাসা পাবেন কি পাবেন না।
ফখরুল বলেন, এই আওয়ামী লীগকে চিনে রাখতে হবে। এই আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ যারা স্বাধীনতার পরে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। গণতন্ত্রের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই কথাটি বারবার মনে রাখতে হবে। সেদিনের কথাগুলো মনে হলে আজকে সত্যিই বিজয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফুড ফর এডুকেশন’ শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য চালু করেছিলেন খালেদা জিয়া। ৩১ দফা আমরা জাতির সামনে তুলে ধরেছি। এটাই সম্পূর্ণ সংস্কার, এর পরে আর কিছু বাকি থাকে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি কখনো জোর করে ক্ষমতা দখল করেনি, বারবার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়েছে। দেশের জনগণ যেদিন সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতা অধিষ্ঠিত করেছিলেন, তখনও জনগণের সমর্থন নেওয়ার জন্য ১৯ দফার ওপর জনগণের সম্মতি নিয়েছিলেন। বিএনপি তো সেই দল।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
টিএইচ