পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাজধানীর নয়া পল্টনে মহাসমাবেশস্থল। কাকরাইলে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের পরপরই পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকা ছেড়ে যায়।
মূলত পুলিশের টিয়ার শেল, সাউন্ড বোমা ও রাবার বুলেটে নয়াপল্টন এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে সমাবেশের দুদিকে (কাকরাইল ও ফকিরাপুল) অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নয়াপল্টন এলাকা অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবে জ্বলছে আগুন।
এর পরপর সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিএনপির সমাবেশ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে বিএনপি।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ের আগে শুরু হয় বিএনপির সমাবেশ। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। তার আগে বেলা ১১টা থেকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহাসমাবেশ মঞ্চে চলে গান-বাজনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নয়াপল্টনে সড়কের ওপরে পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তার আগেই সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।
এরআগে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ স্থলে জড়ো হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার আগেই নয়াপল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, বিজয় নগর ও ফকিরাপুল এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীতে লোকারণ্য হয়ে যায়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ব্যানার-ফেস্টুন ও জাতীয় এবং দলীয় পতাকা। মাথায় ছিলো নীল-হলুদ-লাল রঙের ক্যাপ।
টিএইচ