শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

‘বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগার পাঠানো হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগার পাঠানো হবে’

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে বেগম জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কলঙ্কজনক জেলহত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল, বিষয়টি খালেদা জিয়াও ভালোভাবে জানেন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর সেটি প্রমাণিত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের জেলা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ এজন্য তার বোন, ভাই এবং বোনের জামাই আমার কাছে এসেছে এবং আবেদন করেছে। এজন্য তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছে। এখন যদি বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে আবার তাকে জেলে পাঠিয়ে দেব।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে কয়টা সরকার ছিল? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটা আর অন্যদিকে হাওয়া ভবনে একটা। কোনো উন্নয়নের কাজ হয়নি। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করলাম। তখন ৪০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি। এর মাধ্যমে বাঝাই যাচ্ছে খালেদা জিয়া তার সরকারের আমলে কোনো ফসলই উৎপাদন করতে পারেনি।

১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর খুনীচক্র নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে। যারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘১৬’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। ওয়াসার গাড়ি থেকে পানি কিনতে হতো। বিদ্যুতের জন্য চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষের আন্দোলন করায় তাদের গুলি করা হয়েছে।’

বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনের পাওয়া না দিলে ব্যবসা করা যেতে না। এছাড়া ছিলো  পিএমও অফিসে ছিলো আলু ফালু কি কি/ আর তারিকের ছিলো মামুন-টামুন।

তারা ক্ষমতায় এসে এফবিআইকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে এফবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু এফবিআই তদন্ত করে উল্টে তাদের  দুর্নীতি পেয়েছে। যার সাক্ষী দিয়ে গেছেন সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা। ওই মামলায় তারেকের ৭ বছরের সাজা হয়। এছাড়াও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তারেক জিয়ার জেল হয়েছে। এছাড়াও আরো কত ট্রাক অস্ত্র আমাদনি করা হয়েছে তার তো কোনো হিসাব নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারেক সরাসরি জড়িত। ওই মামলায় পর সে (তারেক জিয়া) মুচলেকা দিয়ে বিদেশে চলে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দুই নেতাই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিএনপির গঠনতন্ত্রে আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের প্রধান হতে পারবে না। তারপরও তারা কি করে এই দলের প্রধান হয়? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি তারা আজ সেই সুবিধা পাচ্ছে। দুর্নীতির সাজাপ্রাপ্তরা এই দেশের ক্ষমতায় আসলে কী অবস্থা হয় তা একবার বুঝেন। 
টিএইচ