আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শতভাগ সরকারি সেবা ডিজিটালি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ঢাকা-চট্টগ্রামে ইন্টারনেট ছিল, খরচ ছিল ৭৮ হাজার টাকা। আমরা সেটি কমিয়ে এনেছি।
আমরা ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করেছি। ২০০৮ সালে দেশে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক টু-জি ছিল, এখন আমরা ফাইভ-জিতে চলে এসেছি।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে ডিজিটাল লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রকাশ করি, তখন ডিজিটাল বলতে কিছুই ছিল না। বিশ্বের কোথাও ডিজিটাল দেশ গড়ার কোনো ফ্রেমওয়ার্ক ছিল না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ডিজিটাল দেশ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত।
তাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের দেশে তাদের নিজস্ব কনসালটেন্ট আসবে, একটা প্রজেক্ট করতে ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগাবে এবং নিজেদের মতো কাজ করব। আমি বলেছি দরকার নাই, আমরা নিজেরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ করব। আমরা কিন্তু সেটাই করেছি। তবে ধাপে ধাপে করতে সময় লেগেছে।
জয় বলেন, গ্রামের মানুষের জন্য মাত্র এক বছরে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার করেছি। সব অ্যাপ আমরা নিজেরা করেছি। এতে বিদেশি কোনো সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হয়নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে ‘বিনিময়’-এর মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে। ‘বিনিময়’ হচ্ছে ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা একটি সেবা হিসেবে ব্যাংক, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে যুক্ত হচ্ছে।
টিএইচ