বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপি বলছেন, তাদের (বিএনপির) তিনটি মহাসমাবেশের চেয়ে ও বড় সমাবেশ প্রধানমন্ত্রী করে রাজশাহীতে দেখিয়ে দিয়েছেন। যে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আছে কি না।
তাদের দেখা উচিত। আজকে তারা যতই বলুক না কেনো যে আমরা নাকি কারচুপি করি। আসলে জনস্রোত ছাড়া কারচুপিও করা যায় না এটা কি তারা জানেনা? তারা জনস্রোত তৈরি করতে ব্যর্থ। যেই জনস্রোত বিএনপি জামাতের নেই।
সোমবার (৩০) জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ হলে, "বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে তাদের যে রাজনৈতিক ধারা, তারা যে সরকার পতনের কথা বলছেন, বাই চান্স স্বাধীনতার কথা বলছেন এটাই তাদের ধারা। এসব কথা বলেই তাদের রাজনীতি করতে হয়, দল ধরে রাখতে হয়।
২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে তাদেরকে কোনো কিছুই বলিনি। কিন্তু এরা প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। অনেক মামলা হামলার স্বীকার আমরা। এটাই এদের রাজনীতি।
আজকে তারা বড় কথা বলছে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছি। তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছি, যেই কথা একসময়ে আমারও বলতাম কিন্তু খালেদা জিয়াই সেটা চাইতো না।
আমি হোসেন আমু বলেন, আমরা আন্দোলনের নামে অগ্নি-সন্ত্রাস করিনি। কিন্তু ;বিএনপি-জামাত ৬০০ স্কুল ধ্বংস করেছে আন্দোলনের নামে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংবিধানের ভিত্তিতে এ দেশে আগামী নির্বাচন হবে এবং এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করবে এ দেশের জনগণ।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমরেড রেজাউর রশীদ খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদের) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ আলী ফারুকী, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সংগ্রামী সভাপতি, শ্রমিক নেতা জাকির হোসেন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
টিএইচ