আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমাদের চলমান আন্দোলন চলতেই থাকবে। যতদিন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে না আসবেন, আমাদের বন্দি নেতারা মুক্ত না হবেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলতে থাকবে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নয়া পল্টন সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, কোন রাষ্ট্রপতি? তিনি কি কিছু করতে পারেন। তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর বাহিরে যেতে পারেন। এজন্য আমরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য এনেছি।
ফখরুল বলেন, আজকে এই এ সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একটা নির্বাচনে তামাশা তৈরি করেছে। স্পস্ট বলতে চাই এই তামাশয় সরকার আর নির্বাচন করতে হবে। তাই এই সরকারকে সরাতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় হয়ে গেছে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার। তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। এখন দেশের মানুষ ডিম খেয়েও বাঁচতে পারছে না। গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষ আর এ সরকারের শোষণ নিতে পারছে না।
ফখরুল বলেন, আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সরকারে হাতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে । বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশের পত্রিকা গুলো বন্ধ করা দেয়া হয়েছে। সেদিন বাকশাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে সাপোর্ট দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র বিশ্বাসী নয়। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু কাজ করে উল্টো। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের ।আওয়ামী লীগের ইতিহাস অবৈধ ক্ষমতা দখলের। আজ অধিকারের জন্য , গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমলীগের সরকারের হাতে প্রাণ দিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য।
টিএইচ