সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post
খুলনা-চট্টগ্রামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

মহাসমাবেশের পর লংমার্চ কর্মসূচির প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাসমাবেশের পর লংমার্চ কর্মসূচির প্রস্তাব

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার আগে জেলা ও মহানগর নেতাদের মতামত নিচ্ছে বিএনপি। দশ সাংগঠনিক বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা করবে দলটি। 

এরই অংশ হিসাবে শনিবার (০১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সভা করে। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা হয়। 

এতে ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশের পর লংমার্চ কর্মসূচির প্রস্তাব দেন নেতারা। পাশাপাশি নির্বাচনকালনীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামীতে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না বলেও তারা মতামত তুলে ধরেন। এ সময় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনের আন্দোলন সফল করার নির্দেশ দেয় দলের হাইকমান্ড।

রোববার (০২ অক্টোবর) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে।

চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৌনে ৪ ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার ওই সভা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

এছাড়াও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিএনপির মহাসচিবসহ নেতারা কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

গত বুধবার ১০ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে। 

শুরুর দিন চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং সব শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে সমাবেশ। 

এ ছাড়াও আবদুর রহিম, নূরে আলম, শাওন, আবদুল আলিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দেশের সব মহানগর পর্যায়ে এবং ১০ অক্টোবর সব জেলা পর্যায়ে শোকর‌্যালি করবে দলটি। এসব কর্মসূচি সফল করতে কঠোর বার্তা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

জানা গেছে, সভায় দুই বিভাগের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি সব জেলা ও মহানগরের দুই শীর্ষ নেতাও ছিলেন। এতে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন সব নেতা। 

এছাড়াও সাংগঠনিক বিভাগে ঘোষিত সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি চায় বিএনপি হাইকমান্ড। এজন্য সভায় নানা দিক-নির্দেশনা দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের এক নেতা জানান, আগামী দিনের আন্দোলন নিয়ে জেলা ও মহানগর নেতাদের কাছে পরামর্শ চান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়াসহ নানা পরামর্শ দেন। 

পাশাপাশি আন্দোলন সফল করতে নানা দিক নির্দেশনা দেন হাইকমান্ড। এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে তৃনমূল পর্যায়ের পুনর্গঠন শেষ করার বিষয়েও তাগিদ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

বিএনপির এক নীতিনির্ধারক জানান, আগামী দিনের আন্দোলন-কর্মসূচি ও রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের আগে তৃণমূলের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। 

তৃণমূলের পরামর্শেই নতুন কর্মসূচি সাজাতে চায় হাইকমান্ড। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে কেমন ভূমিকা থাকবে, তা নিয়ে নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

টিএইচ