পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। তাদের সঙ্গে আমাদের যে ধারাবাহিক অ্যাংগেজমেন্ট, সেটা অব্যাহত রয়েছে। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি। আগামীতে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) যেসব প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসবেন তাদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তখন র্যাবের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়াটা পরিষ্কার হবে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘সিটি শাহীন’ নিহত হওয়ার ঘটনায় আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, এটা তদন্ত করার জন্য। তারা সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এর তদন্ত করেছে এবং সেই তদন্ত প্রতিদেনের বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র সেটা ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্যাংশন আসছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘নট এট অল’।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা আশা করছিল ৯-১০ ডিসেম্বর আরেকটি নিষেধাজ্ঞা আসবে। ওই তারিখে তারা একটি জনসভা ডেকেছিল। তারা যে কতটা লবিস্ট ও প্রোপাগান্ডা মেশিনের ওপর নির্ভরশীল, এটাই তার প্রমাণ।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, কোথাও রাজনীতি করতে হলে জনগণের সমর্থন নিয়ে আসতে হবে, বিদেশি কারও সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি হয়নি, কোনোদিন হবেও না। সাময়িক হয়তো কেউ সুবিধা পেয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, বিশেষ করে এক-এগারো পরবর্তী ঘটনাগুলো এর প্রমাণ।
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের দূত এরইমধ্যে সে দেশে সিংশ্লিষ্টদের কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে, এ ঘটনায় ন্যায়বিচার হবে।
এ ছাড়া যে পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর গত বছর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কোনো কারণে চলতি বছরও সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করছিল সরকার।
এ জন্য সম্প্রতি এক চিঠিতে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
টিএইচ