বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে তার বাপের জমিদারি ভেবেছিল। যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। তার বিরুদ্ধে কথা বলা হলেই গুম ও আয়না ঘরে আটকে রেখে বছরের পর বছর নির্যাতন চালানো হতো।
সাংবাদিকরা কোনো কিছু লিখতে পারেনি। লিখলেই ডিজিটাল আইনে জেলখানায় ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। এখন ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। রিজভী আরো বলেন, বৌদি হারিয়ে যাওয়ার পর তার মাথার ঠিক নেই, পাগল হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে দিনাজপুরে পুলিশের গুলিতে আহত আব্দুর রশিদের শিশু কন্যা ও তার পরিবারকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ি কাটাপাডায় আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং শিশু কন্যাদের তিনি খোঁজ খবর নেন।
আহত পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেন তিনি।
এ সময় রুহুল কবির রিজভীর সাথে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপি নেতা ইন্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন, আতিকুর রহমান, কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, আরিফুর রহমান তুষার, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহাম্মেদ কচি সহ জেলার নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দিনাজপুর সদর হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে আব্দুর রশিদ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আহত আব্দুর রশিদ। এ কারণে ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন আব্দুর রশিদের স্ত্রী। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশু কন্যাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে রুহুল কবির রিজভী দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির পাহাড়পুরস্থ বাসভবনে ৫ই আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত বাবুর স্ত্রী শারমিনের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নিহত বাবুর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
টিএইচ