সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

সুলতানা কামালরা আওয়ামী অধিকার রক্ষার কর্মী: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুলতানা কামালরা আওয়ামী অধিকার রক্ষার কর্মী: রিজভী

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালরা মানবাধিকার কর্মী নয় আওয়ামী অধিকার রক্ষার কর্মী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

ইন্ডিয়া টুডেতে সাক্ষাৎকার দেয়া সুলতানা কামালের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন,‍‍`

যখন ভোলায় যশোরে মুন্সিগঞ্জে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যুবদলের কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে তখন আপনি (সুলতানা কামাল) কোথায় ছিলেন? আপনারা ওটার প্রতিবাদ করলেন না আপনারা কিসের মানবাধিকার কর্মী। আপনারা আওয়ামী অধিকার কর্মী।

আপনি আওয়ামী লীগের স্বার্থের যে অধিকার সেই অধিকারের কর্মী। এদেশের জনগণের যে অধিকার সেটা আপনার মধ্যে নেই আপনার মাথার মধ্যে নেই। আপনি চান আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় থাকুক।

আপনি চান ওরা আওয়ামী লীগ যেভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে,গুম করেছে এটা চালু থাক এটা সুলতানা কামালরা চান। তাই নিজ দেশে না অন্য দেশে সাক্ষাৎকার দিয়ে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে চায়। সুলতানা কামালের সেই বক্তব্য আমি ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই।

বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন,‍‍` আরেকজন বুদ্ধিজীবী মুনতাসির মামুন বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদেশের অনেকেই দেশে থাকতে পারবে না। কেন থাকতে পারবে না? জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন আপনি চাকরি করেননি?

বেগম জিয়ার ক্ষমতার ওই সময় আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আপনি কোথায় পালিয়ে গিয়েছিলেন? বরং আপনি দেশবিরোধী কাজ করেছেন। আপনি এবং আপনার বন্ধু শাহরিয়ার কবির বিদেশে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কলঙ্ক রটিয়েছেন।

রিজভী বলেন, ‍‍`সুলতানা কামালদের কোন সাক্ষাৎকার মুনতাসির মামুনের কোন বিবৃত্তি এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে গণতন্ত্রকে বিচলিত করতে পারবে না বরং তারা আজ দালাল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

সুলতানা কামাল আজ দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সে এদেশের সাংস্কৃতি চায়না সে অন্য কোন দেশের সাংস্কৃতি এদেশের জনগণের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায়। আর এইজন্যে একজন খুনি সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি‍‍`র নেতাকর্মীদের ওপর এত নির্যাতন নিপীড়ন করার পরেও বিএনপি জেগে উঠে কি করে। বিএনপিকে কবরে পাঠাচ্ছে সেখান থেকেও জেগে উঠছে কি করে? এটা সরকারকে আরও প্রতিহিংসা পরায়ন করছে।

শুধু তাই নয় তার যে বুদ্ধিজীবীরা আছে তারাও তাদের মত করাস গাইছে। এখন দেখছি ফ্যাসিবাদ খুনি সরকারের পক্ষে ছাপাই গাইছে সুলতানা কামালের মত একজন মানবাধিকার কর্মী। বিদেশি একটি পত্রিকায় তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছে।

ইডেন কলেজের বিষয় নিয়ে ইনডাইরেক্টলি তিনি সাপাই গাইছে। যে দীর্ঘদিন ধরে এটা চলে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে কিন্তু এত নেক্কারজনক ঘটনা এর আগে আর ঘটেনি। ছাত্র ছাত্রীদের মারামারি হয় কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানকে ক্রীতদাসের বাজারে পরিণতি করা এটা আগে কখনো হয়নি।

আপনি একজন মানবাধিকার কর্মী আইনি সালিশ কেন্দ্রে ছিলেন। সুলতানা কামাল আপনার বিবেক বিবেচনা কোথায়? আপনি শেখ হাসিনাকে তকমা দেওয়ার জন্য বিদেশী পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যে রাষ্ট্র সংস্কার এরকমই চলছে।

আপনারা এদেশের সাংস্কৃতিক জনগণকে অবজ্ঞা করেছেন। আপনারা কারো কৃতদাস হয়ে এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নাৎসিবাদ ফ্যাসিবাদ খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সুলতানা কামাল মুনতাসির মামুন ছাড়া আর কারো কন্ঠ থাকবে না। এইটা সুলতানা কামাল ও মুনতাসির মামুনরা মনে করেন।

শিক্ষকরা নিজেরাও শিক্ষিত একটা শ্রেণিকেও শিক্ষিত করে ওনারা আজকের এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তাদের যে কর্মসূচি সেই কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করেছে এই অবৈধ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তিনি আরও বলেন,‍‍` এদেশের জনগণের উন্নয়নের কাজ করেছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া। আপনি শেখ হাসিনা শুধু দেখান ফ্লাইওভার। কি কারনে দেখান। কারণ হলো এখান থেকে লুটপাট করতে পারবেন।

আপনি (হাসিনা) একটা স্কুল করতে পারেননি যেখানে বিনা পয়সায় পড়াশোনা করতে পারবে এগুলো করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া। তাই আপনার যত হিংসা-বিদ্বেষ জিয়াউর রহমানের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি দেশ নায়ক তারেক রহমানের প্রতি।

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

টিএইচ