রাজধানীর সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানার (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে চানখারপুলের একটি বাসায় আত্মহত্যা করেন রানা। তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার (জান্নাতি) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক।
তার বন্ধু ইমরান হোসেন বাবু বলেন, ওয়াসিম রানা সব সময় হতাশাগ্রস্ত থাকত। তবে কী কারণে হতাশাগ্রস্ত থাকত তা কখনো জানতে পারিনি। অনেকবার তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। এক বছর আগে তার বাবা মারা যায়।
তার আর এক ভাই ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গত নভেম্বরে সে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে। তিন বছর কষ্ট করার পরে সে এই পদ পেয়েছিল। অথচ সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল। ও আমার অনেক কাছের বন্ধু ছিল। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
কান্না জড়িত কণ্ঠে ইমরান আরও বলেন, ওয়াসিম রানা কবি নজরুল কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিল। রাজধানীর নিমতলীর চানখাঁরপুর এলাকায় থাকত। তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সরকারি কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আমরা জানতে পেরেছি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন প্রাথমিকভাবে সেটি জানা যায়নি। লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানাকে জানানো হয়েছে।
টিএইচ