৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে গণসমাবেশ, গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ৭ দলীয় জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে আন্দোলনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদর রহমান মান্না বলেন, ‘এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো। গণতন্ত্র মঞ্চ ওইদিন ঢাকা মহানগরে সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল করবে। শুধু আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ নই, আজকে আরও অনেক রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলনে যেতে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এক সাংবাদিক জানতে চান বিএনপির সঙ্গে এক মঞ্চে গিয়ে বৃহত্তর কোনো কর্মসূচি আপনারা করবেন কিনা? জবাবে মান্না বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা জনগণের মুখোমুখি হবেন না। দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিবেন না। ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন। আমাদের এই লড়াই জনগণের রাষ্ট্র কায়েমের জন্য।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাসদের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ শপথ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
উল্লেখ্য, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও দাবি, রাষ্ট্র, সংবিধান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার ব্যবস্থায় সুনির্দিষ্ট সংস্কারের দাবিতে গঠিত হয় গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটে থাকা দল সাতটি হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
টিএইচ