৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান আজ (১১ জুন) আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনে শুরু হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে দেশের ৬৪ জেলায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী, নবীন বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক।
এদিন সকাল ১০টায় সারা দেশের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের এ মিলনমেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. আলী হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, উন্নত বিশ্বের কাতারে নিজেদের শামিল করতে হলে, বিজ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই।
বিজ্ঞানের চর্চায়, গবেষণায় ও বিজ্ঞানমনস্ক চেতনায় সমৃদ্ধ তরুণ প্রজন্মই আগামীর উন্নত পৃথিবী বিনির্মাণে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করবে।” তুর্কি সাম্রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “একসময় অটোম্যান শাসকরা পৃথিবীজুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করলেও তাঁদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চা না থাকায় ধীরে ধীরে তারা সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, এর বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা ও উদ্ভাবনে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বিজ্ঞানের সকল শাখায় তরুণদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধিৎসু ও বিজ্ঞানমনস্ক এ প্রজন্ম সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন নিজেরাই প্রস্তুত করতে পারবে”। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়া আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শৈকত আকবর। বিজ্ঞান কমপ্লেক্স ভবনে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের ১ম দিনে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ৬৪ জেলা থেকে জুনিয়র ও সিনিয়র গ্রুপের মোট ২৫৬ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এছাড়া দেশের ৮ বিভাগ থেকে বিজয়ী ২৪টি দল বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এর পাশাপাশি তরুণ উদ্ভাবকরা জুনিয়র, সিনিয়র ও বিশেষ গ্রুপে ১৯২টি উদ্ভাবন প্রদর্শন করছে।
টিএইচ