অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিটা বেশি ছিল না। মাত্র ১৪৮ রানের সংগ্রহ নিয়েই শক্তিশালী মিচেল মার্শদের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও নাভিন উল হকের দারুণ বোলিংয়ে অসিদের দাঁড়াতেই দেয়নি আফগানিস্তান। বোলিং দাপটে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল রশিদ খানের দল। সেই সঙ্গে বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশের আশাও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। আফগানদের ঐতিহাসিক জয়ে তাদের ও বাংলাদেশের আশা টিকে রইল। জমে উঠল গ্রুপ ওয়ানের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের তৃতীয় বলেই হারায় ট্রাভিস হেডকে। দলীয় ১৬ রানে বিদায় নেন মিচেল মার্শ। দলীয় ৩২ রানের মাথায় বিদায় নেন ডেভিড ওয়ার্নার। মাঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল প্রতিরোধ গড়েন। উইকেটে জমে থেকে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস।
তবে ম্যাক্সওয়েল ছাড়া বাকিরা সবাই মেতেছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। তাতে আফগানদের পুঁজি টপকানো সম্ভব হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ১২৭ রানেই থেমে যায় অসিদের ইনিংস।
বল হাতে মাত্র ২০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন নাইব। ম্যাচ সেরাও তিনি। সমান ২০ রান দিয়েন নাভিনের শিকার তিনটি।
এর আগে বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে অসিদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৮ রান তোলে আফগানিস্তান।
আজ রোববার ভোরে আফগানদের টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। তবে আগে ব্যাটিংয়ের সুবিধা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি আফগানিস্তান। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ছাড়া কেউই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন গুরবাজ। ৪৯ বলে যা সাজানো চারটি করে ছক্কা চারে।
জাদরান করেন ৪৮ বলে ৫১ রান। শতরানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর বেশিদূর যায়নি আর আফগানিস্তান।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৮ রানে তিন উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। সমান ২৮ রান দিয়ে দুটি শিকার অ্যাডাম জাম্পার।
টিএইচ